অনলাইনে বেচাকেনায় প্রতারিত হচ্ছে ক্রেতা

সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে শীতের কাপড়ের বিজ্ঞাপন দেখে প্রতিটি ২৪৫০ টাকা করে দুইটি লেদার জ্যাকেট অর্ডার দেন । কুরিয়ার সার্ভিসের অর্ডার ফি ২০০ টাকাসহ ৫১০০ টাকা দিয়ে বাড়িতে নিয়ে আসে পছন্দের শীতের লেদার জ্যাকেট। বাড়িতে এসে দেখে দুইটি জ্যাকেটই বিজ্ঞাপনে দেখানো জ্যাকেটের সাথে আকাশ-পাতাল পার্থক্য এবং খুবই নিম্মমানের আবার একটাতে রিপু করা। বিষয়টি কর্তৃপক্ষককে জানালে তারা কালকে, পরশু,পরের দিন পরিবর্তন করে দিবে বললেও শেষমেষ দুইসপ্তাহ পর একটি লেদার জ্যাকেট পরিবর্তন করে দিলেও কোনভাবে পরিধান করছে লেদার জ্যাকেটগুলো। আর কোনদিন অনলাইন মার্কেট থেকে কোন কিছু ক্রয় করবেনা বলে মনস্থির করেন । এতক্ষণ বলছিলাম উইন্টার ফ্যাশন নামক অনলাইন শপিং থেকে ক্রয় করে প্রতারিত হওয়া কক্সবাজারের খোকনের কথা।

খোকনের মতো হাজারও ক্রেতা প্রতারিত হচ্ছে প্রতিনিয়ত। তথ্য প্রযুক্তির যুগে অনলাইন শপিং জীবন-যাত্রার মান সহজতর হচ্ছে, আবার একদিকে অনেকের বেকারত্বের অবসানও হচ্ছে কিন্তু বিভিন্ন সামাজিক অনলাইন শপিং সাইটগুলোকে কেন্দ্র করে কিছু প্রতারক চক্র প্রতারণার নিত্যনতুন ফাঁদ পাতছে। আর এ ফাঁদে পা দিয়ে সর্বস্ব হারাচ্ছে সাধারণ ক্রেতারা। যার ফলে অনলাইন শপিং এর প্রতি দিনদিন বিমুখ হচ্ছে
ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন-২০০৯ এ মিথ্যা বিজ্ঞাপন দ্বারা ক্রেতা সাধারণকে প্রতারিত করা হলে অনধিক ১ বছেরর কারাদন্ড বা অনধিক ২ লক্ষ টাকা অর্থদন্ড বা উভয় দন্ড যোগ্য অপরাধের বিধান থাকলেও আইনের যথাযথ প্রয়োগ না থাকায় দিনদিন অপরাধের প্রবনতা বেড়ে চলেছে বলে সচেতন মহলের ধারণা।

পন্যের মুল্য যাই হোক একজন ভোক্তাকে ঠকানোর কোন অধিকার কারও নেই। এই লিখার উদ্দেশ্য হল জনগণ আর সরকার যেন এই সকল প্রতারক মার্কেটিং সাইটের ব্যাপারে সতর্কতা অবলম্বন করে আর সরকার যেন আইনের মাধ্যমে অবাধ প্রতারনা প্রতিরোধ করে। প্রতারনার জাল বিস্তৃত না হয়ে সংক্রমিত করা প্রশাসনের প্রতি জনগণের সময়ের দাবি। সাধারণ জনগণও এসব প্রতারক সাইটগুলো পরিহার এবং সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত।


মোঃ জয়নাল আবেদিন
শিক্ষার্থী- গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ
(কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়)

ইমেইল –joynaluddin1994@gmail.com