অভিমানী রোহিঙ্গা প্রেমিকের গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্নহত্যা

নিজস্ব প্রতিবেদক : টেকনাফে প্রেমের প্রস্তাব মেনে না নেওয়ায় মায়ের সাথে অভিমান করে এক রোহিঙ্গা কিশোর গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্নহত্যা করেছে।

জানা যায়, ২২ নভেম্বর সকাল ৮টারদিকে উপজেলার সদর ইউনিয়নের বরইতলীতে পুরাতন রোহিঙ্গা মোঃ আলম ও ফাতেমা বেগমের পুত্র মোঃ জুনাইদ (১৬) নাইট্যং পাহাড়ের গাছে উঠে গলায ফাঁস লাগিয়ে আত্নহত্যা করে। পাশর্^বর্তী এলাকার লোকজন গাছে যুবকের ঝুলন্ত লাশ দেখতে পেয়ে থানা পুলিশে খবর দেয়। দুপুর সাড়ে ১২টারদিকে টেকনাফ থানার এসআই জামশেদ সর্ঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে গাছে ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার করে পোস্টমর্টেমের জন্য নিয়ে যায়।

এই ব্যাপারে এসআই জামশেদ বলেন, দুপুরে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে মর্গে প্রেরণ করেছে।
এদিকে স্থানীয় লোকজন বলেন,তারা দীর্ঘদিনের আগের রোহিঙ্গা। মোঃ আলম ও ফাতেমার সংসারে ২ ছেলে ও ১ মেয়ে ছিল। জুনাইদ বড় সন্তান।

পাশর্^বর্তী স্থানীয় মৃত কবির আহমদের মেয়ে রুজিনার সাথে প্রেমের সম্পর্কে গড়ে তোলেন। রুজিনাও তাদের সম্পর্ক বাস্তবে রূপ দান করার জন্য জুনাইদকে বিয়ের প্রস্তাব দেয়। জুনাইদ তাদের প্রেমের সম্পর্কের কথা মা ফাতেমাকে অবহিত করে। কিন্তু মা বলেন এখনো তোমার বয়স হয়নি। প্রেম ও বিয়ে করার সময় হয়নি বলে উল্টো ছেলেকে গালমন্দ করে এড়িয়ে যায়। তখন জুনাইদ চরম অভিমান ও ক্ষোভে আতœহননের সিদ্বান্ত নিয়ে এই নৃশংস ঘটনার আশ্রয় নিয়েছে বলে মনে করেন।