আন্দোলনের মুখে থমকে গেছে এনজিওর কার্যক্রম

বিশেষ প্রতিবেদক :

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে কাজ করে এনজিওতে চাকরির অগ্রাধিকার দেয়ার দাবিতে স্থানিয়দের আন্দোলনের ফলে থমকে গেছে এনজিওর কার্যক্রম। মাঠপর্যায়ে স্থানিয়রা নিয়মিত কাজ করলেও কক্সবাজারের বাইরের এনজিও কর্মীরা আন্দোলনকারীদের রোশানলে পড়ার ভয়ে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে যাচ্ছেননা। তারা কক্সবাজারে অফিসে অবস্থান করে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষন করছে। আর উদ্বোদ্ধ পরিস্থিতিতে বিদেশি এনজিও কর্মীদের চলাচলে উপর শীতিলতা করে রেখেছে এনজিও গুলো। আর কক্সবাজারের কর্মরত এনজিও জাতিসংঘের কর্মকর্তাদের সজাগ থাকার পাশাপাশি আন্দোলনকারীদের সাথে সৌহার্দ্য পূর্ন আচরন করার নির্দেশনা দিয়েছে।

রোহিঙ্গা ক্যাম্পের এনজিওতে চাকরির দাবিতে স্থানিয়রা মাঠে নামার পরথেকেই অনেকটা কোনঠাশা অধিকাংশ এনজিও। আন্দোলনকারীরা কক্সবাজার ও উখিয়ায় সভা, সমাবেশ, মানববন্ধন করে ব্যাপক জনসমর্থন পেয়েছে। দাবি নেয়ায্য হওয়ায় আন্দোলনের গ্রহনযোগ্যতা বড়েছে অনেক বেশি। স্থানিয়দের যোক্তিক সমুহ দাবি মেনে নেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন প্রশাসনের কর্মকর্তারা।

অন্যদিকে সাম্প্রতিক সময়ে স্থানিয় ছাটাই করে ও অফিস বা অফিসার পর্যায়ে স্থানিয়দের অগ্রাধিকার না দেয়ায় অনেকটাই কোনঠাশা অবস্থানে রয়েছে এনজিওরা।

কক্সবাজারে অবস্থান করা এনজিও অফিসে গিয়ে দেখা যায়, মাঠপর্যায়ে নিম্নবেতনে স্থানিয়দের চাকরি দিলেও উচ্চপর্যায়ে অধিকাংশ ক্ষেত্রে কক্সবাজারের স্থানিয়দের চাকরি দেয়া হচ্ছেনা। কক্সবাজার শহরের বিদেশি এনজিও ডিআরসি, হ্যান্ডিক্যব, আইআরসি, ক্রিস্টান এ্যইড, হেল্প, রিলিফ ইন্টারন্যাশনাল, ব্রাক, কেয়ার, ওয়াল্ড ভিশন সহ অধিকাংশ এনজিওর অফিসে একজনও স্থানিয় কর্মরত নেই। বিষয়টি জানাজানি হওয়ার কারনে স্থানিয়দের চাপের মুখে পড়েছে এনজিও গুলো।

এনজিওতে স্থানিয়দের অধিকার নিয়ে আন্দোলনের নেতৃত্ব দেয়া ইমরুল কায়েস চৌধুরী বলেছেন, এনজিওরা যে স্থানিয়দের সাথে প্রতারনা করেছে সেটি পরিষ্কার হয়ে গেছে। তারা স্থানিয়দের ছাটাই করে বাহিরের লোকদের উচ্চ বেতনের চাকরি দিচ্ছে। স্থানিয়দের এনজিওতে চাকরিতে অগ্রাধিকার না দিলে আন্দোলনের মাধ্যমে দাবি আদায় করা হবে।

অধিকার বাস্তবায়ন কমিটি উখিয়ার সমন্বয়ক শরিফ আজাদ বলেছেন, শান্তিপূর্ন ভাবে আমরা আমাদের যৌক্তিক দাবি গুলো সবার কাছে পৌছে দিয়েছি। আমরা কোন সংঘাতের আন্দোলনে যেতে চাইনে। তবে আমাদের শান্তিপূর্ন আন্দোলনের দাবি সমুহ মেনে নেয়া নাহলে কঠোর কর্মসূচি দেয়া হবে।

আমরা কক্সবাজারবাসী সংগঠনের নেতা এইচ এম নজরুল ইসলাম বলেছেন, আমরা স্থানিয়রা যেই দাবি গুলো দিয়েছি, সব দাবিই যৌক্তিক। আমরা আশা করছি এনজিওদের মাঝে শুভ বুদ্ধির উদয় হবে হবে তারা যৌক্তিক দাবি মেনে নিবে।