আবারও বাংলাদেশে রোহিঙ্গা প্রবেশের অভিযোগ

কক্সবাজার জার্নাল ডেস্ক:
কিছুদিন বন্ধ থাকার পর বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম-তুমব্রু সীমান্ত এলাকার মিয়ানমার অংশে গোলাগুলির ঘটনায় একজন নিহত ও আরও দুজন গুলিবিদ্ধের খবর পাওয়া গেছে। এ ছাড়া সীমান্তের শূন্যরেখায় থাকা ক্যাম্পে আগুন ধরিয়ে দেওয়ায় সেখানে আশ্রিত রোহিঙ্গারা বাংলাদেশের দিকে আসছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

বুধবার (১৮ জানুয়ারি) ভোরে সাড়ে ৫টা থেকে বিকাল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত এই গোলাগুলি হয়েছে বলে দাবি স্থানীয়দের। এই ঘটনায় নিহত ব্যক্তি হলেন বালুখালী ক্যাম্পের হামিদ উল্লাহ। আহতরা হলেন- টেকনাফের জাদিমুড়া ক্যাম্প ২৬ এর মুহিব উল্লাহ (২৫) ও ঘুমধুম শূন্যরেখার শিশু মোহাম্মদ হোসেন (১২)।

এ বিষয়ে কক্সবাজারের পুলিশ সুপার মাহফুজুল ইসলাম বলেন, সীমান্তে গোলাগুলিতে নিহত হামিদ উল্লাহ নামে একজনের লাশ উখিয়ার কুতুপালং এমএসএফ হাসপাতালে আনা হয়েছে। সেখানে গুলিবিদ্ধ শিশুসহ আহত আরও দুজনকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। এ বিষয়ে বিস্তারিত খোঁজ নিচ্ছি।

বুধবার বিকালে সরেজমিনে দেখা গেছে, শূন্যরেখার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আগুন লাগায় নারী-শিশুসহ ৩০ রোহিঙ্গা নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদের আশ্রয় নিয়েছেন। পরে তাদের সেখান থেকে তুমব্রু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নিয়ে যান স্থানীয় লোকজন।

এ সময় কাঁদতে কাঁদতে এক রোহিঙ্গা কিশোরী বলেন, বাচ্চারা হতাহত হয়েছে। শূন্যরেখার ক্যাম্প থেকে বেরিয়ে এদিকে (বাংলাদেশের দিকে) চলে যাচ্ছি। আমাদের সবার ঘরবাড়ি পুড়ে গেছে। সবাই এদিক-ওদিক পালাচ্ছে। সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত গোলাগুলি চলছে। শূন্যরেখায় বোমা ফেলছে। একজন মারা গেছেন। আবার অনেকে আহত হয়েছেন।

তুমব্রু সীমান্ত এলাকায় নাম প্রকাশে স্থানীয় এক ইউপি সদস্য জানান, ভোর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত সীমান্তের মিয়ানমার অভ্যন্তর থেকে গোলাগুলির শব্দ এসেছে। শূন্যরেখার রোহিঙ্গাদের ঘরবাড়িগুলো আগুনে পুড়ছে। ফলে সেখানকার রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে ঢুকে পড়ছে। এখন পর্যন্ত নারী, শিশুসহ কয়েকশ রোহিঙ্গা এ পাড়ে চলে এসেছে।

জানা গেছে, তুমব্রুতে শূন্যরেখায় স্থাপিত রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ২০১৭ সালের পর থেকে চার হাজার ২৮০ জন বসবাস করছেন।
সূত্র:বাংলা ট্রিবিউন