ভূমিকম্প ও আমাদের চিন্তাচেতনা

তোফায়েল আহমেদ •


তুরস্ক ও সিরিয়া সংঘটিত ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা প্রায় ৩৩ হাজার ছাড়িয়েছে। বড় বড় দালানকোঠা, সুউচ্চ প্রাসাদ মুহূর্তেই ভেঙেচুরে তছনছ হয়ে যায়।কত উচ্চবিত্তের আকাশচুম্বী দালান মাটির সাথে মিশে ধ্বংসাবশেষ মিলিয়ে গেছে।চারদিকে ভূমিকম্পজনিত ক্ষয়ক্ষতি।

দেশবিদেশ থেকে উদ্ধারকর্মীর সমন্বয়ে উদ্ধারতৎপরতা চলমান।
ভূমিকম্প পাশাপাশি দুটি মুসলিম দেশকে মৃত্যুপুরীতে পরিণত করেছে। উক্ত দুই দেশে হাহাকার, আর্তনাদে আকাশ বাতাস ভারী হয়ে আসছে।

মানবিক সংকট বিরাজ করছে।দুর্যোগ কবলিত এলাকায় তিনমাসের জরুরী অবস্থা ঘোষনা করেছে তুরষ্ক সরকার। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ মানবিক সহায়তার আশ্বাস দিয়েছে।

সামাজিকযোগাযোগ মাধ্যমে ভূমিকম্পের পূর্বে পাখিদের ছুটাছুটি ও চিৎকার চেঁচামেচি,তাহাজ্জুদ সময়ে উল্লেখ করা হয়েছে। তারপর যখন ভূকম্পন শুরু হয়ে যখন একের পর এক ভবন ধ্বসে পড়ছিলো তার ভিডিও ও ছবি দৃশ্যমান। উদ্ধার তৎপরতার ছবি।

রাসূল সাঃ বলেছেন, সারাবিশ্বের মুসলিম একদেহ, যখন দেহের কোন অংশে আঘাত পায় সমস্ত দেহ তা অনুভব করে।কোথায় আমাদের সেই অনুভূতি! আমাদের তুরষ্ক, সিরিয়ার মুসলিম ভাইয়েরা ভূমিকম্পে শহীদ হলো, অনেকে বাড়িঘর,পরিবার পরিজন হারিয়ে দিশেহারা।মৌল মানবিক চাহিদা পূরনের ব্যর্থ। খোলা আকাশের নীচে মানবেতর জীবনযাপন করছে। অসংখ্য লোক মারাত্মকভাবে আহত। এতিম, পিতাহারা, মাহারা,পরিবার হারা মুসলিম ভাইদের আর্তনাদ আমাদের কর্ণকুহরে প্রবেশ করছে না।

ভূমিকম্পের উক্ত বিপর্যয়ে আমরা কি শিক্ষা নিয়েছি। আমরা তাদের পাশে দাড়াতে না পারি অন্তত দোআ করতে পারি । তওবা ইস্তেগফার পড়ে আল্লাহর নিকট তাদের জন্য ফরিয়াদ করতে পারি। তাকওয়া অর্জন করতে পারি।তওবা করে আল্লাহর দিকে ফিরার চেষ্টা করতে পারি। অথচ আমরা এত ভয়াবহ ভূমিকম্প সত্ত্বেও গোনাহের সাগরে ধাবমান। আফসোস! আমরা নামের মুসলমান।

কিসের অহংকার, বাড়ি – গাড়ি ধন সম্পদ, টাকা পয়সা।
যিনি কয়েক সেকেন্ড বা কয়েক মিনিট আগে তিনটি বাড়ির মালিক ছিলেন তিনি কয়েক মিনিট পরে অন্যের দেওয়া তিনটি রুটি সংগ্রহ করছেন।

আল্লাহর পাকড়াও বড় কঠিন।আমাদের প্রিয় জন্মভূমি বাংলাদেশ ও ভূমিকম্পের ঝুঁকিতে আছে।অতএব পরিবর্তন হোন।আসুন অহংকার ত্যাগ করি।তুরষ্ক ও সিরিয়ার ভূমিকম্প থেকে শিক্ষা নিন।
আল্লাহ সকলকে সহি বুঝ দান করুন।