ইট সংকট– উখিয়ার উন্নয়ন কাজ স্থবির, বেড়েছে জনদুর্ভোগ

 

রফিক উদ্দিন বাবুল,কক্সবাজার জার্নাল :কক্সবাজারের সবকটি ইট ভাটা হাহাকার করছে। কোথাও কোন মানসম্মত ইট নেই। সড়ক, উপসড়ক, আঞ্চলিক সড়ক, ব্রীজ, কালভার্ট, ব্রীকসলিনসহ বহুমুখী উন্নয়ন কাজের অন্নতম উপকরন ইটসামগ্রী মারাতœক সংকট দেখা দেওয়ায় বিশেষ করে ঠিকাদারী প্রতিষ্টান গুলো পড়েছে বেকায়দায়।

যেহেতু, কাজ শেষ করতে না পারলে ঈদের আগে তারা বিল পাচ্ছেনা। পাশাপাশি তড়িগড়ি কাজ সম্পন্ন করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের বেফাঁস কথাবার্তা, হুমকি ধমকি শুনতে হচ্ছে। সড়ক কুড়াকুড়ি করে যত্রতত্র ফেলে রাখার কারনে গ্রামবাসীর মারমূখী পরিবেশ ঠিকাদারদের শুনতে হচ্ছে। গতকাল মঙ্গলবার বেশ কয়েকজন ঠিকাদারের সাথে আলাপ করা হলে তারা এসব কথা বলেন।

উখিয়ার বিভিন্ন স্থানে চলমান উন্নয়ন কাজের স্থবিরতার জন্য গ্রামবাসীর দুর্ভোগের অন্ত নেই।

এমন প্রশ্নের জবাবে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ নিকারুজ্জামান চৌধুরী জানান, ইট সংকটের কারনে ঠিকাদাররা কাজ শেষ করতে পারছেনা। সিডিউল অনুযায়ী একটি ইটের দাম ধরা হয়েছে ৭ টাকা করে। অথচ ১২ টাকায়ও ইট মিলছেনা। এমন পরিস্থিতিতে উপজেলার চলমান অসমাপ্ত উন্নয়ন কাজ নিয়ে ভুরিভুরি অভিযোগ আসছে। তিনি আক্ষেপ করে বলেন, উপজেলা পরিষদে একটি গভীর নলক’পের কাজ শুরু করে ইটের অভাবে শেষ করতে পারিনি।

বানিজ্যিক ভাবে ইট উৎপাদন ও বাজারজাত করনে নিয়োজিত ইট ভাটার মালিক আবুল কালাম, হায়দার আলী, পলাশ বড়–য়া, ইসহাক এন্টারপ্রাইজ, কবির আহম্মদ সওদাগর জানান, উখিয়া উৎপাদিত ইট স্থানীয় চাহিদা পূরন করে বিপুল পরিমান ইট ভাটায় অবিক্রিত অবস্থায় নষ্ট হয়ে যেত। রোহিঙ্গাদের মানবিক সেবায় নিয়োজিত প্রায় দেড়শতাধিক এনজিও সংস্থা ইট সরবরাহ করার কারনে মৌসুমের শুরু থেকে ইটের ঘাটতি দেখা দিয়েছে। এমনকি বর্তমানে ভাঙ্গাচুরা ইট পর্যন্ত শেষ হয়ে গেছে।

স্থানীয় ঠিকাদার জসিম উদ্দিন, মামুন চৌধুরী, জহির চৌধুরী, আশরাফ আলী জানান, ইট সামগ্রীর অভাবের কারনে তারা প্রকল্পের কাজ শেষ করতে পারছেনা। যে কারনে বিল পেতে তাদের বেকায়দায় পড়তে হয়েছে।

পূর্ব ডিগলিয়া, পশ্চিম ডিগলিয়া, ডেইল পাড়া, হাজীর পাড়ার গ্রামীন সড়কে জনচলাচলের ক্ষেত্রে দুর্ভোগের সৃষ্টি হয়েছে দাবী করে কাজী পাড়া গ্রামের কাজী মহিউদ্দিন জানান, ঠিকাদারদের গাফিলতির কারনে শতশত মানুষ ৫/৬ মাস ধরে কষ্ট পাচ্ছে।