একাদশ সংসদের এমপিদের গেজেট প্রকাশ

ঢাকা: একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নবনির্বাচিতদের ফলাফল গেজেট আকারে প্রকাশ করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (০১ জানুয়ারি) নির্বাচন কমিশনের যুগ্ম সচিব এস এম আসাদুজ্জামান বাংলানিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, বিকেলেই বিজি প্রেসে আজকের তারিখে গেজেট প্রকাশের জন্য পাঠানো হয়েছে। আশা করছি কালকের মধ্যে হাতে পৌঁছাবে।

এর আগে নির্বাচন কমিশন সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ বলেছিলেন, নাম, ঠিকানাসহ নির্বাচিতদের গেজেট প্রকাশের প্রস্তুতি চলছে। রিটার্নিং কর্মকর্তাদের কাছ থেকে প্রয়োজনীয় তথ্যাদি সংগ্রহ করা হচ্ছে। মঙ্গলবারের মধ্যে সম্ভব না হলে বুধবার গেজেট প্রকাশ করা হবে।

গেজেট প্রকাশের পর শপথের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে স্পিকারের কাছে তা পাঠাবে ইসি সচিবালয়।

সংসদ নির্বাচনের ফল গেজেট আকারে প্রকাশের তিনদিনের মধ্যে শপথের সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা রয়েছে। এরপর ৩০ দিনের মধ্যে অধিবেশন ডাকতে হবে।

তবে ভোটের কতদিন পর গেজেট হবে, সেই বিষয়ে কোনো বাধ্যবাধকতা নেই।

একাদশ সংসদের প্রথম অধিবেশন শুরুর ৯০দিনের মধ্যে জাতীয় সংসদের স্পিকারকে অবহিত না করলে বা শপথ না নিলে সদস্যপদ খারিজ হয়ে যাবে। 

সদস্যদের আসন শূন্য হওয়ার বিষয়ে সংবিধানের ৬৭ নং অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, কোনো সংসদ সদস্যের আসন শূন্য হইবে, যদি

(ক) তাহার নির্বাচনের পর সংসদের প্রথম বৈঠকের তারিখ হইতে নব্বই দিনের মধ্যে তিনি তৃতীয় তফসিলে নির্ধারিত শপথ গ্রহণ বা ঘোষণা করিতে ও শপথপত্রে বা ঘোষণাপত্রে স্বাক্ষরদান করিতে অসমর্থ হন:

তবে শর্ত থাকে যে, অনুরূপ মেয়াদ অতিবাহিত হইবার পূর্বে স্পিকার যথার্থ কারণে তাহা বর্ধিত করিতে পারিবেন;

(খ) সংসদের অনুমতি না লইয়া তিনি একাদিক্রমে নব্বই বৈঠক-দিবস অনুপস্থিত থাকেন;

(গ) সংসদ ভাঙ্গিয়া যায়;

(ঘ) তিনি এই সংবিধানের ৬৬ অনুচ্ছেদের (২) দফার অধীন অযোগ্য হইয়া যান; অথবা

(ঙ) এই সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদে বর্ণিত পরিস্থিতির উদ্ভব হয়।

(২) কোন সংসদ-সদস্য স্পিকারের নিকট স্বাক্ষরযুক্ত পত্রযোগে স্বীয় পদ ত্যাগ করিতে পারিবেন, এবং স্পিকার- কিংবা স্পিকারের পদ শূন্য থাকিলে বা অন্য কোনো কারণে স্পিকার স্বীয় দায়িত্ব পালনে অসমর্থ হইলে ডেপুটি স্পিকার- যখন উক্ত পত্র প্রাপ্ত হন, তখন হইতে উক্ত সদস্যের আসন শূন্য হইবে।

পদের শপথ 

১৪৮। (১) তৃতীয় তফসিলে উল্লিখিত যে কোন পদে নির্বাচিত বা নিযুক্ত ব্যক্তি কার্যভার গ্রহণের পূর্বে উক্ত তফসিল-অনুযায়ী শপথগ্রহণ বা ঘোষণা (এই অনুচ্ছেদে “শপথ” বলিয়া অভিহিত) করিবেন এবং অনুরূপ শপথপত্রে বা ঘোষণাপত্রে স্বাক্ষরদান করিবেন।

(২) এই সংবিধানের অধীন নির্দিষ্ট কোন ব্যক্তির নিকট শপথগ্রহণ আবশ্যক হইলে অনুরূপ ব্যক্তি যেরূপ ব্যক্তি ও স্থান নির্ধারণ করিবেন, সেইরূপ ব্যক্তির নিকট সেইরূপ স্থানে শপথগ্রহণ করা যাইবে।

৩[ ২(ক) ১২৩ অনুচ্ছেদের (৩) দফার অধীন অনুষ্ঠিত সংসদ সদস্যদের সাধারণ নির্বাচনের ফলাফল সরকারী গেজেটে প্রজ্ঞাপিত হইবার তারিখ হইতে পরবর্তী তিন দিনের মধ্যে এই সংবিধানের অধীন এতদুদ্দেশ্যে নির্দিষ্ট ব্যক্তি বা তদুদ্দেশ্যে অনুরূপ ব্যক্তি কর্তৃক নির্ধারিত অন্য কোন ব্যক্তি যে কোন কারণে নির্বাচিত সদস্যদের শপথ পাঠ পরিচালনা করিতে ব্যর্থ হইলে বা না করিলে, প্রধান নির্বাচন কমিশনার উহার পরবর্তী তিন দিনের মধ্যে উক্ত শপথ পাঠ পরিচালনা করিবেন, যেন এই সংবিধানের অধীন তিনিই ইহার জন্য নির্দিষ্ট ব্যক্তি।]

(৩) এই সংবিধানের অধীন যে ক্ষেত্রে কোন ব্যক্তির পক্ষে কার্যভার গ্রহণের পূর্বে শপথগ্রহণ আবশ্যক, সেই ক্ষেত্রে শপথ গ্রহণের অব্যবহিত পর তিনি কার্যভার গ্রহণ করিয়াছেন বলিয়া গণ্য হইবে।

২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির দশম সংসদ নির্বাচনে তিনদিনের মধ্যে গেজেট প্রকাশের পর ৯ জানুয়ারি নির্বাচিত শপথ পড়ানো হয়।

গত ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হয় ২৯৯ সংসদীয় আসনের ভোটগ্রহণ। গাইবান্ধা-৩ আসনে এক প্রার্থীর মৃত্যু হওয়ায় সেখানে ভোট হবে ২৭ জানুয়ারি। আর ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের নির্বাচনে তিনটি কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ স্থগিত হওয়ায় সেখানে পুনর্নির্বাচনের পর ফল ঘোষণা করা হবে।