কক্সবাজারে অন্তঃসত্ত্বা নারীসহ ৩ জনের লাশ উদ্ধার

ডেস্ক রিপোর্ট – কক্সবাজারের পেকুয়ায় অন্তঃসত্ত্বা নারী, ইনানী ও রামুতে দুইজনের লাশ পাওয়া গেছে।

কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের উখিয়ার ইনানী এলাকা থেকে গুলিবিদ্ধ ইয়াবা ব্যবসায়ীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (২৩ জুলাই) সকাল ৯টার দিকে ইনানী পুলিশ প্রত্যক্ষদর্শীর খবরের ভিত্তিতে লাশটি উদ্ধার করে। পুলিশ জানিয়েছেন, এলাকাবাসির খবরের ভিত্তিতে এক ব্যক্তিকে গুলিবিদ্ধ অবস্থা উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়া হলে সকাল ১০টার দিকে দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

ইনানী পুলিশ ফাঁড়ির আইসি (উপপরিদর্শক) সিদ্ধার্থ জানান, স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শীর ইনানী মেরিন ড্রাইভের পাশে একটি গুলিবিদ্ধ দেহ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে এক ব্যক্তিকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করে।

এসময় তার কাছ থেকে ১টি দেশীয় তৈরী বন্দুক, ১রাউন্ড কার্তুজ, ৫শ পিস ইয়াবা পাওয়া যায়। গুলিবিদ্ধ ব্যক্তিকে তাকে হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা দেন। এরপর লাশ ময়না তদন্তের জন্য কক্সবাজার মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।
তিনি জানান, প্রত্যক্ষদর্শী মতে প্রাথমিক ভাবে লাশটি পরিচয় সনাক্ত করা গেছে, সে উখিয়া উপজেলার রাজাপালং ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডের শামশুল আলম সিকদারের ছেলে নজরুল সিকদার (৩৫)। তাদের মধ্যে ইয়াবা সংক্রান্ত অভ্যান্তরিন দ্বন্ধের কারনে প্রতিপক্ষের গুলিতে হয়তো সে মারা গেছে।

উখিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ আবুল মনসুর জানান, ইনানী মেরিন ড্রাইভ এলাকা থেকে সকাল ৯টার দিকে এলাকাবাসির খবরের ভিত্তিতে এক ব্যক্তিকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়া হলে ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এদিকে কক্সবাজারের রামু উপজেলার দুর্গম গর্জনিয়া ইউনিয়নের কালিবইন্ন্য বালুর ঘোনা রাবার বাগানের চলাচলের রাস্তা থেকে মঙ্গলবার (২৩ জুলাই) সকালে এক ব্যক্তির গলাকাটা লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

সে গর্জনিয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ থোয়াঙ্গারকাটা এলাকার হাজী মোঃ হাসানের ছেলে আবদুল মতলব বলে জানা গেছে স্থানীয় মেম্বার আবদুল জব্বার ও গর্জনিয়া ফাঁড়ি পুলিশ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন।

অপরদিকে পেকুয়ায় পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা জেনুয়ারা বেগম (১৯) নামের এক গৃহবধুর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
নিহত গৃহবধু উজানটিয়া ইউনিয়নের করিয়ারদিয়া বাইন্যা পাড়া এলাকার অাবুল কালামের মেয়ে ও একই এলাকার মোঃ রিদুয়ানের স্ত্রী।

মঙ্গলবার(২৩জুলাই) সকাল ১০টায় পেকুয়া থানার এসআই সুমন সরকার গৃহবধুর লাশ উদ্ধার করে।
গৃহবধুর মা সাদিয়া বেগম বলেন, আমার মেয়ের বিয়ে হয়েছিল আমিরাত প্রবাসী মোঃ রিদুয়ানের সাথে। বিয়ের কিছু দিনের মধ্যে স্বামী প্রবাসে চলে যায়। স্বামীর অবর্তমানে শ্বাশুড়ী আমার মেয়েকে মারধর করত। মারধরের ঘটনা বাড়তে থাকলে স্বামী বিদেশ থেকে চলে আসে। এরই মধ্য মেয়ে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে। অন্তঃসত্ত্বা মেয়ের চেষ্টা ছিল স্বামীর সংসার করা।

গত ১৫দিন আগে স্বামী রিদুয়ান যৌতকের জন্য মারধর করে আমার মেয়েকে বাড়ি থেকে বের করে দেন। ২০হাজার টাকা আনতে না পারায় সেদিন মেয়েকে প্রচুর মারধর করা হয়। সেদিন থেকে মেয়ের কোন খবর পায়নি। গতকাল রাত সাড়ে ১১টার দিকে স্বামী খবর দেন মেয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্নহত্যা করেছে। আমি নিশ্চিতভাবে বলতে পারি মেয়ে আত্মহত্যা করেনি তাকে হত্যা করা হয়েছে।

পেকুয়া থানার এসআই সুমন সরকার বলেন, গৃহবধুর লাশটি গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় উদ্ধার করি। গৃহবধুর পিতা ও মায়ের অভিযোগ থাকায় স্বামী মোঃ রিদুয়ান ও শ্বাশুড়ী ছকিনা বেগমকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে।

পেকুয়া থানার ওসি জাকির হোসেন ভূঁইয়া বলেন, গৃহবধুর লাশটি উদ্ধার করা হয়েছে। এঘটনায় স্বামী ও শ্বাশুড়ী থানার হেফাজতে রয়েছে। লাশটি ময়নাতদন্তনের জন্য সদর হাসসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। পরিবারের পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ দিলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।