কক্সবাজারে জমে উঠেছে কোরবানীর ৫৩টি পশুর হাট

সাইফুল ইসলাম,কক্সবাজার জার্নাল

পবিত্র ঈদুল আযহাকে সামনে রেখে কক্সবাজার জেলার বিভিন্নস্থানে জমে উঠেছে কোরবানীর পশুর হাট। বিশেষ করে শহরের রুমালিয়াছড়া চৌধুরী ভবন সড়কের সামনে থেকে খুরুশকুল বীজ্র পর্যন্ত গরু বাজারটি শুরুতেই জমে উঠতে দেখা গেছে।

এছাড়াও কক্সবাজার জেলার প্রায় পশুর বাজার শুরু হয়ে গেছে ইতোমধ্যে। বাজারে গরু মহিষে জমজমাট থাকলেও এখনো ক্রয়-বিক্রয় তেমন হচ্ছে না।

তবে রবিবার থেকে জমজমাট বিক্রি হতে পারে বলে ধারণা করেছেন ব্যবসায়ীরা। শনিবার থেকে শুরু হয়ে পৌরসভার রুমালিয়াছড়া চৌধুরী ভবনের সামনে থেকে খুরুশকুল ব্রীজ পর্যন্ত পশুর হাটটি।

ব্যবসায়ীরা জানান- বাজারে পর্যাপ্ত পরিমাণ পশু উঠলেও এখনো বিক্রি তেমন হচ্ছে না। ক্রেতারা ঘুরে ঘুরে বাজার পরিস্থিতি দেখছেন। কেউ কেউ আবার দর-দামও কষাকষি করছেন।

জেলা প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, এবার জেলায় কোরবানি যোগ্য পশুর চাহিদা রয়েছে ৮৪ হাজার। প্রায় ২ হাজার ১৪ জন খামারী বাজারে কোরবানি পশু তুলবে। এবার পশু সংকট পড়ার কোন আশঙ্কা নেই। এর ফলে মিয়ানমার থেকে আমদানী পশুর প্রতি নিভর্রতা কমে যাবে।

আরও জানা য়ায়, কক্সবাজার জেলার আট উপজেলায় স্থায়ী-অস্থায়ী মিলিয়ে ৫৩টি কোরবানির পশুর হাট নির্ধারণ করা হয়েছে। এরমধ্যে সদর উপজেলায় ৭টি, রামুতে ৬টি, চকরিয়ায় ১১ টি, পেকুয়ায় ৪টি, উখিয়ায় ৬টি টেকনাফে ৭টি, মহেশখালীতে ৯টি ও কুতুবদিয়ায় ৭টি।

ব্যবসায়ীরা জানান, এবার বাজারে কোরবানীর পশুর হাটে ভাল রকমের পশু বেচা-কেনা চলবে। পশুর কোন সংকট নেই। তাদের মতে জেলার মানুষের চাহিদার চেয়ে এবারের হাটে পশুর সংখ্যা বেশী। তাই গত বছরের তুলনায় এবারের পশুর দামও অনেক কমতে পারে।

জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, বাজারে কোরবানি পশুর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করার জন্য ২০ টি মেডিকেল টিম ইতোমধ্যে কাজ শুরু করেছে। এছাড়া কোরবানির বাজার গুলো পুলিশের পক্ষ থেকে জালনোট সনাক্ত করতে মেশিন বসানো হয়েছে।

প্রশাসনের সূত্রে জানা গেছে- পশু বাজার গুলোতে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা করা হয়েছে। ক্রেতা-বিক্রেতারা নিরাপদে পশু বেচা-কেনা করতে পারবেন। কোরবানীর দিন যতই ঘনিয়ে আসছে পশুর হাটে বেচাকেনা ততই বাড়বে।

পৌরসভায় পশুর হাটের গরু ব্যবসায়ী মোহাম্মদ ইব্রাহিম জানান, গতবারের তুলনায় এবারে পশু বেশি। শুরুর দিকে দাম একটু বাড়তি থাকলে শেষের দিকে দাম তুলনামূলকভাবে কমবে। বাজারের চাহিদার তুলনায় অনেক গরু বিভিন্ন জায়গা থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে।

পৌরসভার পশুর হাট ইজারাদার শাহেদ মোহাম্মদ ইমরান জানান, গকতাল শনিবার থেকে পশুর হাট শুরু হয়েছে মাত্র। শুরুর দিনেই যথেষ্ট পরিমান গরু-মহিষ আসছে বাজারে। বেচাকেনা তেমন হচ্ছে না। তবে জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে মানুষ আসছে তাদের পছন্দের পশুটি কিনতে। আজ থেকে জমজমাট বিক্রি হতে পারে। এছাড়া শেষের দিকে আরও বেচাকেনা বাড়তে পারে বলে জানান তিনি।

এর আগে শহরের একমাত্র এই কোরবানীর পশুর হাট শুভ উদ্বোধন করেন কক্সবাজার পৌরসভার নবনির্বাচিত মেয়র মুজিবুর রহমান।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, কক্সবজাবার পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি নজিবুল ইসলাম, জেলা ছাত্র লীগের (ভারপ্রাপ্ত) সাধারণ সম্পাদক মোরশেদ হোসেন তানিম ও ইজারাদার শাহেদ মোহাম্মদ ইমরান।