পৌরসভার মেয়র ও কাউন্সিলরের স্বাক্ষর জালিয়াতির অভিযোগ

কক্সবাজারে প্রতারক চক্রের ৪ সদস্য আটকঃ ভুঁয়া জাতীয়তা সনদসহ বিপুল সরঞ্জামাদি জব্দ


সংবাদ বিজ্ঞপ্তি :
কক্সবাজার পৌরসভার মেয়র ও কাউন্সিলরসহ বিভিন্ন কর্মকর্তার সীল-স্বাক্ষর জালিয়াতি করে ভুঁয়া জাতীয়তা সনদ, জন্মনিবন্ধন এবং গুরুত্বপূর্ণ প্রত্যয়ন তৈরীর সারঞ্জামাদিসহ প্রতারক চক্রের ৪ সদস্যকে আটক করেছে পুলিশ।

বৃহস্পতিবার রাতে শহরের লালদীঘির পাড়স্থ ইডেন গার্ডেন সিটি লাগোয়া গলির ‘ঈদগাঁও কম্পিউটার’ নামক একটি দোকান থেকে তাদের আটক করা হয়। এসময় জালিয়াতির কাজে ব্যবহৃত একটি কম্পিউটার, একটি স্কেনার মেশিন ও কয়েকটি সীলসহ বিপুল সংখ্যক ভুঁয়া জাতীয়তা সনদ জব্দ করে পুলিশ।

কক্সবাজার সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) মো. খায়রুজ্জামান জানান, পৌর ভবনের পাশ^বর্তী প্রধান সড়ক থেকে নাগরিক সেবা নিতে আসা এক নারীর সাথে ভুঁয়া জাতীয়তা সনদ নিয়ে প্রতারণা করে চৌফলদন্ডী দক্ষিণ পাড়ার মৃত আবদুল আজিজের ছেলে নুরুল কবির। এমন অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে কবিরকে ধৃত করে কক্সবাজার পৌরসভার কয়েকজন কর্মকর্তা।

পরে জিজ্ঞাসাবাদে নুরুল কবিরের কাছ থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে শহরের বিভিন্ন জায়গায় বিশেষ অভিযানে নামে পুলিশ। এক পর্যায়ে লালদীঘির পাড়স্থ ইডেন গার্ডেন সিটি লাগোয়া গলির ‘ঈদগাঁও কম্পিউটার’ নামক দোকানে তল্লাসী চালালে সেখানে বিপুল ভুঁয়া জাতীয়তা সনদ ও জন্মনিবন্ধন পাওয়া যায়। পরে জালিয়াতি কাজে ব্যবহৃত একটি কম্পিউটার, একটি স্কেনার মেশিন ও কয়েকটি সীল জব্দ করে পুলিশ।

এসময় জালিয়াত চক্রের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে কক্সবাজার সদর উপজেলার ইসলামাবাদ ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের পশ্চিম বোয়ালখালীর মোহাম্মদ উল্লাহর ছেলে রেজাউল করিম, খরুলিয়া মুন্সিরবিল এলাকার বাবুল শর্মার ছেলে রাজু শর্মা প্রকাশ নান্টু ও বিজিবি ক্যাম্প পেতা সওদাগর পাড়া এলাকার মমতাজুল হক মুন্সীর ছেলে জিয়াউল হক প্রকাশ খোকনকে আটক করে পুলিশ। এর আগে ৫ হাজার টাকার বিনিময়ে খতিজা বেগম নামে এক নারীকে ভুঁয়া জাতীয়তা সনদ প্রদানকালে জালিয়াত চক্রের অন্যতম সদস্য নুরুল কবিরকে মেয়রপুত্র হাসান মেহেদী রহমানের সহযোগিতায় আটক করে পৌরসভার কয়েকজন কর্মকর্তা।

পরে বিষয়টি মেয়র মুজিবুর রহমানকে অবহিত করা হলে তাঁর পরামর্শে ধৃত নুরুল কবিরকে সদর মডেল থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এ ঘটনায় পৌরসভার জাতীয়তা সনদ প্রস্তুত ও প্রদানকারী কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বাদী হয়ে সদর মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। যার নং-জিআর ৪২/১৯।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই আবুল কালাম জানান, চক্রটি দীর্ঘদিন ধরে রাষ্ট্র বিরোধি এসব অপরাধ কর্মকান্ড চালিয়ে আসছিলো বলে পুলিশের কাছে তথ্য রয়েছে। বিশাল এ চক্রের সাথে আরো কেউ জড়িত আছে কিনা সে বিষয়ে অধিকতর তদন্ত চলছে। তিনি জানান, অব্যাহত অভিযানে সিন্ডিকেটের অপরাপর সকল সদস্যকে চিহ্নিত করে তাদেরকেও দ্রুত আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে।