কক্সবাজারে ভোটের ব্যবধান আকাশ-পাতাল

রাশেল চৌধুরী,কক্সবাজার :

কক্সবাজার জেলার চারটি আসনেই আকাশ-পাতাল ভোটের ব্যবধানে বিজয়ী হয়েছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থীরা। ১৯৭৩ সালের পর এবারই প্রথম জেলার চার আসনে আওয়ামী লীগ প্রার্থীরা বিজয়ী হলেন। প্রায় প্রতিটি আসনেই দুই লক্ষাধিক ভোটের ব্যবধানে বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীরা। যদিও সারা দেশের ন্যায় কক্সবাজার জেলার চারটি নির্বাচনী আসনের ফলাফলও প্রত্যাখ্যান করেছে বিএনপি। জেলা বিএনপি সভাপতি ও উখিয়া-টেকনাফ আসনের বিএনপি মনোনীত প্রার্থী শাহজাহান চৌধুরীর দাবি- ভোট হয়নি, জালিয়াতি হয়েছে। তার মতে, এটি ছিল উপরে ফিটফাট ভেতরে সদরঘাট স্টাইলে ভোট!

কক্সবাজার-১ (চকরিয়া-পেকুয়া) আসনে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন জাফর আলম। তিনি নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির প্রার্থী হাসিনা আহমেদকে ২ লাখ ১৯ হাজার ৭০৩ ভোটের ব্যবধানে পরাজিত করেছেন। আওয়ামী লীগ প্রার্থী জাফর আলমের প্রাপ্ত ভোট ২ লাখ ৭৪ হাজার ৯৬৩।

তার প্রতিদ্বন্দ্বী হাসিনা আহমেদ পেয়েছেন ৫৫ হাজার ২৬০ ভোট।

কক্সবাজার-২ (মহেশখালী-কুতুবদিয়া) আসনে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন আশেক উল্লাহ রফিক। তিনি নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জামায়াত সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থী এএইচএম হামিদুর রহমান আজাদকে ২ লাখ ১৪ হাজার ৫৯১ ভোটের ব্যবধানে পরাজিত করেছেন। আওয়ামী লীগ প্রার্থী আশেক উল্লাহ রফিকের প্রাপ্ত ভোট ২ লাখ ২৯ হাজার ২৫০। হামিদুর রহমান আজাদ পেয়েছেন ১৪ হাজার ৬৫৯ ভোট। বিএনপি প্রার্থী আলমগীর মোহাম্মদ মাহফুজ উল্লাহ ফরিদ পেয়েছেন ১১ হাজার ৭৮৯ ভোট।

কক্সবাজার-৩ (কক্সবাজার সদর-রামু) আসনে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন সাইমুম সরওয়ার কমল। তিনি নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি প্রার্থী লুৎফুর রহমান কাজলের চেয়ে ১ লাখ ৫৭ হাজার ৪৩০ ভোট বেশি পেয়েছেন। আওয়ামী লীগ প্রার্থী সাইমুম সরওয়ার কমলের প্রাপ্ত ভোট ২ লাখ ২২ হাজার ৬৪৫। অন্যদিকে লুৎফুর রহমান কাজল পেয়েছেন ৬৫ হাজার ২১৫ ভোট।

কক্সবাজার-৪ (উখিয়া-টেকনাফ) আসনে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন শাহীন আক্তার। তিনি নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির শাহজাহান চৌধুরীর চেয়ে ১ লাখ ৫৯ হাজার ৯৫৬ ভোট বেশি পেয়েছেন। আওয়ামী লীগ প্রার্থী শাহীন আক্তারের প্রাপ্ত ভোট ১ লাখ ৯৬ হাজার ৯৭৪। বিএনপি প্রার্থী শাহজাহান চৌধুরী পেয়েছেন ৩৭ হাজার ১৮ ভোট।