কক্সবাজারে স্থাপন হচ্ছে ওয়াইফাই জোন

শিপন পাল :
অবশেষে কক্সবাজার জেলায় স্থাপন হচ্ছে ওয়াইফাই জোন। ইতিমধ্যে এবিষয়ে কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (কউক) এর উদ্যোগ জেলাব্যাপী ওয়াইফাই জোন স্থাপনের নিমিত্ত আলোচনা সভা হয়েছে। ডিজিটাল বাংলাদেশ এবং স্মার্ট কক্সবাজার সিটি বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে এই উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। ডিজিটাল সিলেট সিটি প্রকল্পের আওতায় কক্সবাজার জেলায় ওয়াইফাই জোন স্থাপনের নিমিত্ত কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (কউক) কউকের চেয়ারম্যান লে: কর্নেল (অব:) ফোরকান আহমদ এর সভাপতিত্বে গতকাল ২১ জানুয়ারী এক সভা করেছেন বলে জানা যায় কউক সূত্রে।
জেলার সচেতন মহলের দাবি, কক্সবাজার জেলার পর্যটন এরিয়াস্পটে ওয়াই-ফাই সংযোগ চালু হলে পাল্টে যেতে পারে পর্যটন শিল্পের চেহারা।তাই জেলায় ওয়াই-ফাই সংযোগ চালুর দাবী দীর্ঘদিনের। ইন্টারনেটের এই যুগে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে কক্সবাজার জেলার সংশ্লিষ্ট পর্যটন এলাকা সমূহে ওয়াইফাই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। এতে জেলার পর্যটন স্পটগুলো আরও একধাপ এগিয়ে যাবে। জেলার পর্যটন স্পটগুলো পর্যটকদের কাছে পরিচিত করে তুলতে ওয়াই-ফাই কোন বিকল্প নেই জানিয়েছেন অনেকে।
আইটি বিশেষজ্ঞ পিন্টু দত্ত জানান, ‘কক্সবাজার জেলা পর্যটন এলাকা হিসেবে ওয়াই-ফাই চাহিদা ব্যাপক। ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মানে ওয়াই-ফাই দেশব্যাপী ব্যাপক ভূমিকা রাখছে। কক্সবাজারকে পর্যটকদের কাছে পরিচিত করার তোলার ক্ষেত্রে ওয়াই-ফাই গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে। ওয়াই-ফাই সংযোগ ব্যবস্থা গরীব মেধাবী শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ বিনির্মানে শিক্ষাক্ষেত্রে যথেষ্ট ভূমিকা রাখবে। পাশাপাশি জেলার হোটেল-মোটেল জোন, ব্যবসায়ীক প্রতিষ্ঠান এবং সামাজিক যোগাযোগে ওয়াই-ফাই গুরুত্ব অপরিসীম। তাই জেলার সংশ্লিষ্ট পর্যটনস্পট ও কক্সবাজার শহর এলাকায় ওয়াই-ফাই সংযোগ স্থাপন করলে পর্যটক ও স্থানীয়দের জন্য খুবই সুবিধা হয়।’
কউকের চেয়ারম্যান লে: কর্নেল (অব:) ফোরকান আহমদ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে বলেন, বর্তমান সরকারের রূপকল্প এবং ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে ডিজিটাল সিলেট সিটি প্রকল্পের আওতায় কক্সবাজার জেলায় ওয়াইফাই জোন স্থাপনের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে সরকার; যা সত্যি প্রশংসনীয়। এই প্রকল্প বাস্তবায়নের ফলে পর্যটক সেবার পাশাপাশি স্থানীয় জনগণও বর্হিবিশ^ সম্পর্কে সহজে জানার সুযোগ সৃষ্টি হবে। সী-বীচ সহ কক্সবাজার শহরের ৩৫টি পয়েন্টে মোট ৭৪টি ডিভাইস এক্সেস পয়েন্ট (এপি) স্থাপন করা হবে। ফলে পর্যটকসহ সাধারণ জনগণ বিনামূল্যে ইন্টারনেট ব্যবহারের সুযোগ পাবে। এবিষয়ে সংশ্লিষ্ট সকলে মতামত প্রদান করেছেন। এই উদ্যোগ পর্যটকসহ স্থানীয় জনগণের মাঝে সুদুরপ্রসারী প্রভাব ফেলবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন সংশ্লিষ্টরা।
তিনি আরও উল্লেখ করেন, এবিষয়ে মতামত নেয়ার জন্য ২১ জানুয়ারি সোমবার এক সভার আয়োজন করা হয়। এতে কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের সদস্য (প্রকৌশল) লে: কর্নেল মোহাম্মদ আনোয়ার উল ইসলাম, কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের সচিব (উপ সচিব) আবু জাফর রাশেদ, জেলা প্রশাসকের প্রতিনিধি সহকারী কমিশনার জিন্নাত শহীদ পিংকি, সিলেট ডিজিটাল সিটি প্রকল্প পরিচালক মহিদুর রহমান খান, পুলিশ সুপারের প্রতিনিধি এএসপি (ট্রাফিক) বাবুল চন্দ্র বণিক, কক্সবাজার সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি আবু তাহের, কক্সবাজার ডিএসবি পুলিশ পরিদর্শক মো: রুহুল আমিন, ইন্সপেক্টর ট্যুরিস্ট পুলিশ এম. সাকের আহমেদ, জেলা জাসদ সভাপতি নঈমুল হক চৌধুরী টুটুল, কক্সবাজার পৌরসভার প্যানের মেয়র মো: হেলাল উদ্দিন, বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের সহকারী প্রকৌশলী এএইচএম মোস্তফা কামাল, কক্সবাজার পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ নুরুল আলম, কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ কউকের কনসালটেন্ট মো: আইনুল ইসলাম সহ অনেকে ইতিবাচক মতামত প্রদান করেন।