কক্সবাজারে হাসপাতালে আসা-যাওয়া মানুষগুলো প্রতারক, ছিনতাই ও যানজটের কাছে অসহায়

বিশেষ প্রতিবেদক •

কক্সবাজার জেলার অত্যন্ত জনগুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান জেলা সদর হাসপাতাল, মা ও শিশু হাসপাতাল, বক্ষব্যাধি হাসপাতাল। বেসরকারি হাসপাতাল হিসেবে ফুয়াদ আল-খতীব হাসপাতাল, সী-সাইড হাসপাতাল, শেভরন ক্লিনিক্যাল ল্যাবরেটরী, পুরাতন শেভরন, ইউনিয়ন হাসপাতাল, ডিজিটাল হাসপাতাল, সেন্ট্রাল হাসপাতাল, জেনারেল হাসপাতাল, ন্যাশনাল কক্স হাসপাতাল, সি.আই.সিসহ অসংখ্য ডেন্টাল ক্লিনিক একই জায়গায় অবস্থিত। এখানে প্রতিনিয়ত কক্সবাজার জেলার বিভিন্ন অঞ্চল থেকে হাজার হাজার রোগী ও রোগীর আত্মীয়-স্বজন আসে। ভোলা বাবুর পেট্রোল পাম্প থেকে সদর হাসপাতালের মুখ হয়ে বামে গোলদিঘীর পাড় ডানে কোর্ট বিল্ডিং পর্যন্ত এলাকায় দূর-দূরান্ত থেকে আসা গ্রাম থেকে মানুষ প্রতিনিয়ত ছিনতাই, চুরি, পকেটমার ও প্রতারণার শিকার হচ্ছেন।

এখানে রিক্সা, টমটম, সিএনজি বিভিন্ন যানবাহন নিয়ন্ত্রণহীনভাবে যানজট সৃষ্টি করে। এই সুযোগে অপরাধীদের অপরাধ সংগঠিত করার অত্যন্ত সহজ হয়ে দাঁড়িয়েছে। অন্যদিকে কোর্ট বিল্ডিং কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের সামনে রাস্তা বন্ধ করে সিএনজি ও মটরসাইকেল পার্কিং এরপরে রাস্তার উপর বাজার, এ্যম্বুলেন্স স্টেশন, ফুয়াদ আল খতিব ও সী-সাইড হাসপাতাল, শেভরনের সামনে অবৈধ সি.এন.জি স্টেশন এবং সদর হাসপাতালের সামনে রাস্তার দু-পাশে ভ্রাম্যমান দোকানের কারণে সাধারণ মানুষ চলাচল এবং অসংখ্য মুমূর্ষ রোগী যথাসময়ে হাসপাতালে পৌঁছাতে না পারায় প্রতিনিয়ত বড় ধরনের দূর্ঘটনার সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে সাধারণ মানুষ।
ভূক্তভোগীরা অভিযোগ করেন, হাসপাতাল সড়কটি অত্যন্ত জনগুরুত্বপূর্ণ সড়ক, এই সড়কে নিরবিচ্ছিন্ন চলাচলের স্বার্থে রাস্তার দুপাশে ভ্রাম্যমান দোকান, বাজার এবং যত্রতত্র সিএনজি স্টেশন ও ঔষধ কোম্পানীর এম.আর’র মোটর সাইকেলগুলোর বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার দরকার। পাশাপাশি রোগী ও রোগীর আত্মীয় স্বজনদের নিরাপত্তার স্বার্থে ওই এলাকায় এক শ্রেণীর দালাল চক্র এবং মুক্তা ব্যবসায়ী নামে প্রতারক চক্রের কারণে গ্রাম থেকে আসা মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য সংশ্লিষ্ট আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সুদৃষ্টি কামনা করেন সাধারণ মানুষ।

কক্সবাজার সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মনিরুল গিয়াস বলেন, কক্সবাজারের এই জনগুরুত্বপূর্ণ এলাকায় মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণের জন্য আমরা শীঘ্রই প্রতারক, ছিনতাই, পকেটমার, দালাল মুক্ত করতে অভিযান চালাব। ট্রাফিক বিভাগকে সাথে নিয়ে রাস্তার দুইপাশে জনসাধারণের চলাচলে বিঘ্নসৃষ্টিকারী ভ্রাম্যমাণ দোকান ও যানজট নিরসনের জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা অব্যাহত থাকবে।