কক্সবাজারে ৫১ কেন্দ্রে পরীক্ষার্থী ৩১,৭৩১ জন

বিশেষ প্রতিবেদক •

সারা দেশে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হচ্ছে ৩০ এপ্রিল। পরীক্ষা কেন্দ্রের আশপাশে সকল ফটোকপির দোকান বন্ধ রাখা, কোচিং সেন্টার বন্ধ রাখা, পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষা শুরুর ৩০ মিনিট পূর্বে কেন্দ্রে প্রবেশ করাসহ গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা দেয়া হয়েছে এবারের পরীক্ষায়। পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে গ্রহণের জন্য সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে সংশ্লিষ্ট প্রশাসন। সড়কে পরীক্ষার্থীরা যেন নির্বিঘ্নে চলাচল করে কেন্দ্রে যেতে পারে সে বিষয়ে ট্রাফিক পুলিশকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সকল কেন্দ্রে নকলমুক্ত পরিবেশে পরীক্ষা গ্রহনের জন্য এবং আইনশৃংখলা বজায় রাখতে পর্যাপ্ত পুলিশ মোতায়েন থাকবে বলে জানান অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক শিক্ষা ও আইসিটি তাপ্তি চাকমা।

তিনি বলেন, আমরা সকল কেন্দ্র সচিবদের নিয়ে প্রস্তুতি সভা করেছি। সেখানে পরীক্ষা গ্রহনের জন্য বোর্ড কর্তৃক প্রদত্ত নির্দেশনা প্রদান করেছি। আশাকরি সকলের সহযোগিতায় একটি পরিচ্ছন্ন পরীক্ষা গ্রহন করতে পারব।

এদিকে জেলা প্রশাসকের শিক্ষা ও কল্যান শাখা সূত্রে জানা যায়, জেলায় ৩০ এপ্রিল শুরু হওয়া এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় ৫১ কেন্দ্রে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৩১ হাজার ৭শ ৩১ জন। তৎমধ্যে এসএসসির ৩০ কেন্দ্রে ২২,৬৭১ জন, দাখিলের ১৩ কেন্দ্রে ৭৬৫৪ জন এবং ভোকেশনালের ৮ কেন্দ্রে ১৪০৬ জন।

এসএসসিতে ৩০ কেন্দ্রের কেন্দ্রওয়ারি পরীক্ষার্থীর সংখ্যা হল- কক্সবাজার সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে ৮২৬ জন, ঈদগাও আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে ৬৪৬ জন, কক্সবাজার সরকারি বালিকা কেন্দ্রে ৭৯৩জন, ঈদগাঁও জাহানারা ইসলাম বালিকা কেন্দ্রে ৬১৩ জন, কক্সবাজার মডেল হাইস্কুল কেন্দ্রে ১০১০ জন,খুরুস্কুল উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে ৭৩৫ জন, রামু খিজারি মডেল উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে ৯১৩ জন, রামু বালিকা কেন্দ্রে ৫৩০ জন, চকরিয়া সরকারি বালক বিদ্যালয়ে ১৪৩০ জন, চকরিয়া সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ে ১২৯৭ জন, চকরিয়া কোরক বিদ্যাপীঠ কেন্দ্রে ২০১৫ জন, বদরখালী কলেজ ৬৪১ জন, কুতুবদিয়া সরকারি বালিকা কেন্দ্রে ২৪৪ জন, ধুরুং আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে ৭৭২ জন, মহেশখালী সরকারি বালিকা কেন্দ্রে ৭৫৮ জন, কালামারছড়া উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে ৩৬১ জন, মাতারবাড়ি উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে ৪৭২ জন, মহেশখালী বালিকা কেন্দ্রে ৬১১ জন, ইউনুচখালী নাসিরউদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয় ৬৫৫জন, উখিয়া উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে ৪৩৯ জন, উখিয়া বালিকা কেন্দ্রে ৯৬৪ জন, পালং আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে ৯০৯ জন,কুতুপালং উচ্চ বিদ্যালয় ৭০৩, টেকনাফ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে ৭০৮ জন, টেকনাফ আলী আছিয়া কেন্দ্রে ৩৬৯ জন, এজাহার বালিকা কেন্দ্রে ৫২৩ জন, নয়াবাজার উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে ৬৫৭, পেকুয়া জিএমসি ইনস্টিটিউশন কেন্দ্রে ৬৭২ জন, পেকুয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে ৯০০ জন।

অপরদিকে দাখিল পরীক্ষায় জেলায় ১৩ কেন্দ্রে ৭৬৫৪ জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করছে। এদের মধ্যে কক্সাবাজার ইসলামিয়া মহিলা কামিল মাদ্রাসা কেন্দ্রে ৬৪৮ জন, ঈদগাও আলমাছিয়া ফাজিল মাদ্রাসা কেন্দ্রে ৬৪৮ জন, কক্সবাজার আদর্শ কামিল মাদ্রাসা কেন্দ্রে ৫৪০ জন, মেরংলোয়া রহমানিয়া ইসলামীয়া দাখিল মাদ্রাসা কেন্দ্রে ৩৬১ জন, রামু গর্জনীয়া ফয়জুল উলুম দাখিল মাদ্রাসা কেন্দ্রে ২৯০ জন, চকরিয়া আনোয়ারুল উলুম ফাজিল মাদ্রাসা কেন্দ্রে ৯৪৫ জন, আমজাদিয়া রফিকুল উলুম ফাজিল মাদ্রাসা কেন্দ্রে ৬৩৯ জন, কুতুবদিয়া বড়ঘোপ ইসলামীয়া ফাজিল মাদ্রাসা কেন্দ্রে ৪৩১ জন, মহেশখালী পুটিবিলা ইসলামীয়া ফাজিল মাদ্রাসা কেন্দ্রে ৫১৯ জন, কালামারছড়া ইসলামীয়া দাখিল মাদ্রাসা কেন্দ্রে ৪৭৭ জন, রাজাপালং এমইউ ফাজিল মাদ্রাসা কেন্দ্রে ৭৫৫ জন, রঙ্গিখালী দারুল উলুম ফাজিল মাদ্রাসা কেন্দ্রে ৭৯৫ জন, পেকুয়া আনোয়ারুল উলুম আলিম মাদ্রাসা কেন্দ্রে ৬০৬ জন পরীক্ষার্থী রয়েছে।

অপরদিকে ভোকেশনালের ৮ কেন্দ্রে এবার পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ১৪০৬ জন। এরমধ্যে কক্সবাজার টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজের পরীক্ষার্থী ৪১০ জন, রামু টেক্সটাইল ইনস্টি্িটউট কেন্দ্রে ২০৮ জন, রামু বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে ৯২ জন,রামু খিজারীতে ১৪৫ জন, কিশলয় আদর্শ শিক্ষা নিকেতন কেন্দ্রে ১৯৬ জন, উখিয়া নুরুল ইসলাম বিএম স্কুল এন্ড কলেজে ৯৯ জন, মহেশখালী আইল্যান্ড হাইস্কুল কেন্দ্রে ২৩০ জন, আল ফারুক দাখিল মাদ্রাসা কেন্দ্রে ২৬ জন।