ভূল রিপোর্টে জীবনবিপন্ন মন্ত্রী পরিষদ সচিবের মা আলমাছ খাতুন

কক্সবাজার শেভরণ ল্যাবরেটরী বন্ধ করে দিয়েছে ভ্রাম্যমান আদালত : সাড়ে ৩ লাখ টাকা জরিমানা

শাহজাহান চৌধুরী শাহীন,কক্সবাজার

কক্সবাজার শহরের সেভরণ ডায়গানস্টিক সেন্টারে স্থাপিত শেভরণ ক্লিনিক্যাল ল্যাবরেটরীতে অভিযান চালিয়েছে ভ্রাম্যমান আদালত। শনিবার বিকালে কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট সেলিম শেখ ও ফাজানা প্রিয়ংকা এ অভিযান চালান। এসময় শেভরণ ক্লিনিক্যাল ল্যাবরেটরীতে ভুঁয়া টেস্ট রিপোর্ট তৈরি, যন্ত্রপাতির মান খারাপ, লাইেেসন্স না থাকায় সহ রোগীদের টেস্ট রিপোর্ট নিয়ে জাল জালিয়াতি ও প্রতারণার অভিযোগে ৩ লাখ ৬০ হাজার টাকা জরিমানা ও ল্যাবরেটরীটি বন্ধ করে দিয়েছেন।


শেভরণ ক্লিনিক্যাল ল্যাবরেটরী ভুল রিপোর্টের শিকার হন মন্ত্রী পরিষদ সচিব শফিউল আলমের মা শহীদ জননী আলমাছ খাতুন। কক্সবাজার সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকা আলমাছ খাতুনের রক্ত ও ইফরিন টেস্ট করতে দিয়ে ভূল রিপোর্টেও শিকার হন এই অশীতিপর বৃদ্ধা।শেভরণ ক্লিনিক্যাল ল্যাবরেটরী কর্তৃপক্ষ তাহার চিকিৎসা পত্রে ভুল রির্পোট দিয়ে চরম অবেহেলা করেছে বলে এমন অভিযোগ রোগীর স্বজনদের। প্রতিদিন চিকিৎসা সেবা নিতে আসা রোগি ও তাদের স্বজনদের নানা প্রতারণার শিকার হতে হয় বলে জানান ভোক্তভোগীরা।গত বছরের ১১ নভেম্বর (২০১৭) কক্সবাজার শহরের হাসপাতাল সড়কে হয়রানীর কেন্দ্রবিন্দু বেসরকারি ক্লিনিক সেভরণ হাসপাতাল ঝটিকা অভিযান চালিয়েছে র‌্যাব-৭। সেভরণ ডায়গানস্টিক সেন্টারে স্থাপিত শেভরণ ক্লিনিক্যাল ল্যাবরেটরীতে ভুয়া টেস্ট রিপোর্ট তৈরি, যন্ত্রপাতির মান খারাপ সহ রোগীদের টেস্ট রিপোর্ট নিয়ে জাল জালিয়াতি করার প্রমান পাওয়ায় সেই সময় ৪ লাখ টাকা নগদ জরিমানাও করেছিল র‌্যার।
জানাযায়,বয়োবৃদ্ধা আলমাছ খাতুন দীর্ঘ এক মাস ধরে কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালের আইসিউতে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। গত ৩০ নভেম্বর কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাক্তার ফাহিম রোগীর রক্ত ও ইউরিন পরীক্ষা করার জন্য ব্যবস্থা পত্রে লিখে দেন। জেলা সদর হাসপাতালে ওই পরীক্ষার ব্যবস্থা না থাকায় শেভরণ ক্লিনিক্যাল ল্যাবরেটরীতে পরীক্ষার জন্য যান রোগীর স্বজনরা।


সেখানে ওইদিন রোগির রক্ত নিতে পারলেও ইউরিন দিতে পারেনি। পরবর্তীতে ইউরিন নেওয়ার কথা থাকলেও শেভরণ ল্যাবরেটরীতে রোগীর ইউরিন সংগ্রহ না করে রক্তের পরীক্ষা পত্রের সাথে ইউরিনের পরীক্ষার রির্পোটসহ কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়। অতপর ভুল রিপোর্টটি রোগীর স্বজনসহ হাসপতালের দায়িত্বরত সেবিকা ও চিকিৎসকের নজরে আসেন। বিষয়টি নিয়ে হাসপাতালে হৈচৈ পড়ে যান।

শেভরণ ক্লিনিক্যাল ল্যাবরেটরি বিরুদ্ধে কক্সবাজার জার্নাল ডটকমে সংবাদ প্রকাশ হওয়র পর প্রশাসনের নজরেও আসে।
শনিবার বিকালে শনিবার বিকালে কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট সেলিম শেখ ও ফাজানা প্রিয়ংকা এ অভিযান চালান। এসময় ল্যাব কর্তৃপক্ষ তাদেও লাইসেন্স প্রর্দশন করতে পারেনি। এছাড়াও শেভরণ ক্লিনিক্যাল ল্যাবরেটরীতে ভুঁয়া টেস্ট রিপোর্ট তৈরি, যন্ত্রপাতির মান খারাপ, লাইেেসন্স না থাকায় সহ রোগীদের টেস্ট রিপোর্ট নিয়ে জাল জালিয়াতি ও প্রতারণার অভিযোগে ৩ লাখ ৬০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট সেলিম শেখ ও ফাজানা প্রিয়ংকা বলেন, ল্যাবরেটরীটি বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।