কাঙ্ক্ষিত গন্তব্যে পৌঁছায়নি কক্সবাজার পর্যটন

মুহিবুল্লাহ মুহিব :

পর্যটনের অপার সম্ভাবনা থাকা সত্ত্বেও এখনো কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে এগোতে পারেনি কক্সবাজারের পর্যটন শিল্প। পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধার অভাব ও পরিকল্পনা না থাকাকেই দুষছেন পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা। তবে কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের দাবি, পর্যটনকে এগিয়ে নিতে মহাপরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।

বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত, পাহাড়, দীর্ঘ মেরিন ড্রাইভ, সবুজের সমারোহ, প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিন ও বৌদ্ধ বিহার পর্যটনের সবকিছুই আছে পর্যটন অঞ্চল কক্সবাজারে। আর এ কারণেই প্রতিবছর ১৫ লাখের অধিক পর্যটক ছুটে আসেন এখানে।

কিন্তু পর্যটকরা ছুটে আসলেও এখানে গড়ে ওঠেনি সুযোগ-সুবিধা। পর্যটকরা বলছেন, ‘অপার সম্ভাবনার পরও ঠিকমত এগোচ্ছে না কক্সবাজারের পর্যটন খাত। শুধু মাত্র হোটেল নির্মাণেই সীমাবদ্ধ কক্সবাজারের পর্যটনের উদ্যোক্তারা।’

টাঙ্গাইল থেকে আসা শিক্ষক সাজিদুল হক বলেন, ‘পরিকল্পিত কিছুই নেই। যেভাবে বিশ্বের অন্যান্য দেশে পর্যটকদের জন্য যেসব সুযোগ-সুবিধা থাকার কথা তা কক্সবাজারে এখনো গড়ে উঠেনি। শুধু বড় বড় হোটেল থাকলে পর্যটন এগোবে না।’

ঢাকা থেকে আসা রহমত উল্লাহ বলেন, ‘১২০ কিলোমিটার সৈকত আছে। কত কিলোমিটারে পর্যটকরা যেতে পারছে বা আসছে। ১১টি পয়েন্ট আছে তবে পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধা নেই।’

ব্যবসায়ী নেতাদের মতে, সমন্বয়হীনতার কারণে পর্যটন শিল্প পরিকল্পিতভাবে এগোতে পারছে না।

ব্যবসায়ীদের সংগঠন রিহ্যাব চট্টগ্রাম অঞ্চলের চেয়ারম্যান আবদুল কাইয়ুম চৌধুরী বলেন, ‘কক্সবাজার জেলায় যে সকল প্রকল্প বাস্তবায়ন হচ্ছে তা যদি দ্রুত সময়ের মধ্যে শেষ হয় তাহলে আমূল পরিবর্তন আসবে পর্যটন শিল্পে। এটাই মূল লক্ষ্য আমাদের। যে সকল এক্সক্লুসিভ টুরিস্ট জোনের কাজ চলছে আশা করছি অতি অল্প সময়ের মধ্যে তার কাজ শেষ হবে।’

হোটেল ওনারস এসোসিয়েশনের কক্সবাজার মুখপাত্র সাখাওয়াত হোসাইন বলেন, ‘হোটেল-মোটেল রয়েছে পর্যাপ্ত। তবে পরিবেশের কারণে আমরা পিছিয়ে পড়ছি। আসছে না বিদেশী পর্যটক। পাশাপাশি নির্বাচন ও বিভিন্ন কারণে দেশীয় পর্যটক আসাও কমে গেছে। আশাকরি সামনে একটু ভাল ব্যবসা করতে পারব।’

কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ চেয়ারম্যান লে. কর্নেল (অব) ফোরকান আহমদ বলেন, ‘কক্সবাজারের পর্যটনকে এগিয়ে নিতে মহাপরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। যা একনেকে পাঠানো হয়েছে। এ পরিকল্পনা মতে প্রকল্প অনুমোদন দেয়া হলে আমূল পরিবর্তন আনা হবে।’

উল্লেখ্য যে, পর্যটকদের জন্য গড়ে তোলা হয়েছে সাড়ে চার শতাধিক হোটেল, মোটেল, রিসোর্ট ও গেস্ট হাউস। প্রতিদিন রাত্রিযাপন করতে পারে দেড় লাখের অধিক পর্যটক। ভ্রমণের জন্য রয়েছে শতাধিক স্পট।