কোর্টবাজারে “আইসিটি স্পেশাল কেয়ার”র পঞ্চম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত

ইমরান আল মাহমুদ:
কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলায় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি শিক্ষার বিস্তারে অনন্য ভুমিকা রেখে চলেছে কোর্টবাজারে অবস্থিত আইসিটি স্পেশাল কেয়ার। নানা বাধা বিপত্তি পেরিয়ে ৬ বছরে পদার্পণ করেছে সেন্টারটি।

প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে শুক্রবার(৬ জানুয়ারি) সকালে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানের সূচনা করা হয় কুরআন তেলাওয়াত ও ত্রিপিটক পাঠের মধ্য দিয়ে। সেন্টারের প্রতিষ্ঠাতা জয় বড়ুয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন নিখিল বড়ুয়া, প্রাক্তন ছাত্র ইমরান আল মাহমুদ। এসময় শিক্ষার্থীরা তাদের অনুভূতি ব্যক্ত করেন।

শিক্ষার্থীরা বলেন,আমরা আইসিটি স্পেশাল কেয়ারে পড়ে অনেক কিছু শিখেছি এবং জেনেছি। জয় দাদা আমাদের সহজভাবে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ের সবকিছু বুঝিয়ে দেন।”

আইসিটি স্পেশাল কেয়ারের প্রতিষ্ঠাতা জয় বড়ুয়া বলেন,”শুরুতে আইসিটি বিষয়ে পড়ার উদ্যোগ নিতে গিয়ে নানা বাধা বিপত্তির সম্মুখীন হয়েছিলাম। কিন্তু শুরু থেকে সবসময় মানসিক ও সব ধরনের সহযোগিতা করে পাশে থেকেছিলো বন্ধু নিখিল বড়ুয়া। আমি সবসময় উখিয়ার শিক্ষার্থীদের ভালো দিকটা চিন্তা করে আইসিটি বিষয়ে দক্ষ করে তোলার চেষ্টা করেছি। সবার সহযোগিতায় সেটা পেরে উঠেছি। প্রতিবছর সংখ্যাগরিষ্ঠ শিক্ষার্থীরা এখানে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ে পড়তে আসে। শিক্ষার্থীদের মাঝে সহজভাবে সে বিষয়ে বুঝিয়ে পড়ানোর চেষ্টা সবসময় করে আসছি। আইসিটি স্পেশাল কেয়ার উখিয়া উপজেলার একটি ডিজিটাল কেয়ারে পরিণত করার জন্য সব প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। এখানে থাকবে ল্যাপটপ,কম্পিউটার, ডেস্কটপ সহ ডিজিটাল প্রযুক্তি। এবং ইংরেজি, অর্থনীতি সহ সব বিষয় চালু করার প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। সকলের সহযোগিতা কামনা করছি।”

প্রতিষ্ঠাকালীন সময়ের অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে প্রতিষ্ঠাতা জয় বড়ুয়া বলেন,”পরিত্যক্ত একটি ঘর মেরামত করে আইসিটি বিষয়ে পড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছিলাম। এখন পর্যন্ত আড়াই হাজার শিক্ষার্থী পড়ে বর্তমানে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজে অধ্যয়নরত অবস্থায় রয়েছে। প্রতিদিন ৩শ জন নিয়মিতভাবে পড়তে আসে। শুরুটা নানা প্রতিবন্ধকতার মধ্য দিয়েই হয়েছিলো। বর্তমানে আইসিটি স্পেশাল কেয়ার ও আশপাশের সড়কে সিসিটিভি স্থাপন করে নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছি। শিক্ষার্থীরা স্বাচ্ছন্দ্যে তাদের পড়ালেখা করতে পারে। ভবিষ্যতে আরও বৃহৎ আকারে গড়ে তোলার জন্য সবার সহযোগিতা কামনা করছি।”

আলোচনা সভা শেষে নিয়মিত শিক্ষার্থীদের পুরস্কার প্রদান করা হয়। পরে কেক কেটে আনুষ্ঠানিকভাবে ৫ম বর্ষপূর্তি উদযাপন করা হয়।