(একদিনে দেড় কোটি টাকার মাদক উদ্ধার)

চলমান যুদ্ধের মধ্যেও রোহিঙ্গা মাদক কারবারীরা এখনো সক্রিয়!

গিয়াস উদ্দিন ভুলু,টেকনাফ :
টেকনাফে মাদক পাচার প্রতিরোধ ও কারবারীদের নির্মুল করতে আইনশৃংখলা বাহিনীর চলমান যুদ্ধ এখনো অব্যাহত। তারপরও থামছেনা মাদক পাচার! সেই সুত্র ধরে গত কয়েক মাসের ব্যবধানে র‍্যাব ও পুলিশ সদস্যদের পৃথক বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছে বেশ কয়েকজন ইয়াবা কারবারী। উদ্ধার হয়েছে অস্ত্র,গুলি ও বিপুল পরিমান ইয়াবা। অথচ এত কঠোর অভিযানের মধ্যেও থেমে নেই ইয়াবা পাচার।

তথ্য অনুসন্ধানে দেখা যায়, অত্র উপজেলার চিহ্নিত অনেক মাদক কারবারী তাদের অপকর্ম বন্ধ করে দিয়েছে। কিন্তু এই অবৈধ মাদক পাচার চালু রেখেছে অর্থলোভী রোহিঙ্গারা। তারা টেকনাফ উপকুল ব্যবহার করে প্রতিনিয়ত প্রশাসনের চোঁখ ফাঁকি দিয়ে মিয়ানমার থেকে নিয়ে আসছে ইয়াবাসহ নানা প্রকার মাদকদ্রব্য।

সেই ধারাবাহিকতায় ৪ ডিসেম্বর টেকনাফ ২ বিজিবি সদস্যরা পৃথক অভিযান পরিচালনা করে ৫০ হাজার পিছ ইয়াবা ও ১ হাজার ২৭৫ ক্যান বিয়ার উদ্ধার করেছে। যার আনুমানিক মুল্য এক কোটি, ৫৩ লক্ষ টাকা। এদিকে চলমান মাদক বিরোধী চলমান অভিযানের মধ্যেও মাদক পাচার অব্যাহত থাকায় টেকনাফ উপজেলার সাধারন মানুষের মাঝে দেখা দিয়েছে মিশ্র-প্রতিক্রিয়া। অনেকেই অভিমত প্রকাশ করে বলছেন আইনশৃংখলা বাহিনীর এত কঠোর হওয়ার পরও কিভাবে মাদক পাচারে সক্রিয় ভাবে জড়িত অসাধু রোহিঙ্গা চক্র। আবার অনেকেই বলছেন অত্র এলাকার মাদক পাচারে জড়িত অনেক ইয়াবা কারবারী তাদের অপকর্ম ছেড়ে দিয়ে ভাল কাজের দিকে ফিরে আসার চেষ্টা করছে।

অভিযানের সত্যতা নিশ্চিত করে টেকনাফ ২ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক মোঃ আছাদুদ-জামান চৌধুরী জানান, জব্দকৃত ইয়াবা ও বিয়ার গুলো ব্যাটালিয়ন সদরে জমা রাখা হয়েছে, যা পরবর্তীতে উর্দ্ধতন কর্মকর্তা, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের প্রতিনিধি, স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও মিডিয়া কর্মীদের উপস্থিতিতে ধ্বংস করা হবে।

তিনি আরো বলেন মাদক কারবারে জড়িত অনেক অপরাধী আড়ালে থেকে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা অসাধু রোহিঙ্গাদের মাধ্যমে সু-কৌশলে চালিয়ে যাচ্ছে মাদক পাচার। তাদের সেই অপচেষ্টা প্রতিহত করতে সীমান্ত প্রহরী আমাদের বিজিবি সদস্যরা সদা প্রস্তুত আছে এবং থাকবে।