ঝিমিয়ে থাকার পর যেভাবে চাঙা হলো উখিয়া উপজেলা ছাত্রলীগ!

ইমরান আল মাহমুদ, কক্সবাজার জার্নাল:
প্রায় দুইবছর পর ঘোষণা করা হয় উখিয়া উপজেলা ছাত্রলীগের নতুন কমিটি। এর আগে গত প্রায় দুইবছর যাবত কমিটিবিহীন থাকে উখিয়া উপজেলা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। বিগত কমিটি বিলুপ্তের পর কিছুটা পদপ্রত্যাশায় সক্রিয় হলেও পরে ঝিমিয়ে পড়ে নেতাকর্মীরা। বিভিন্ন কর্মসূচিতে তেমন সক্রিয় দেখা যায়নি।

নানা জল্পনা কল্পনা শেষে নাটকীয়তার মধ্য দিয়ে ঘোষণা করা হয় ২৬ জন বিশিষ্ট কমিটি। গত ৩১ মার্চ দিবাগত রাতে তারেক হোসেন মানিক কে আহবায়ক করে প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে কমিটি ঘোষণা করেন কক্সবাজার জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি সাদ্দাম হোসাইন ও সাধারণ সম্পাদক আবু মো. মারুফ আদনান। কমিটি ঘোষণার পরপরই চলে নানা আলোচনা-সমালোচনা। ২৬ জনের কমিটিতে আহবায়ক ছাড়াও ২১জনকে যুগ্ন আহবায়ক মনোনীত করা হয় এবং বাকী ৪জনকে সদস্য মনোনীত করা হয়। এরপর থেকে শুরু হয় অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা বার্তার ঝড়।

ঝিমিয়ে পড়া থেকে যেভাবে চাঙা হলো উখিয়া ছাত্রলীগ:
দীর্ঘদিন পদপ্রত্যাশীরা নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে নিজেদের অবস্থান জানান দেয় উখিয়া, কোর্টবাজার, মরিচ্যার রাজপথে। দীর্ঘ প্রচেষ্টার পরেও কমিটি ঘোষণা না করায় অনেকটা ঝিমিয়ে পড়ে নেতাকর্মীরা। বিগতদিনে কয়েকটা কর্মসূচিতে তেমন সক্রিয়ভাবে অংশ নিতে দেখা যায়নি। তবে নবগঠিত কমিটির আহবায়ক মনোনীত হওয়া তারেক হোসেন মানিক দীর্ঘদিন যাবত ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত। এটি তার প্রাপ্য ছিলো বলে মনে করছেন তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা। গণমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাতে মানিক বলেন,”উখিয়া উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়ন ও স্কুলে ছাত্রলীগের বাগান গড়ে তুলবো।”

অন্যদিকে কমিটির ১নং যুগ্ন আহবায়ক মোহাম্মদ সালাহ উদ্দিন দীর্ঘদিন যাবত পদপ্রত্যাশী ছিলেন। তিনি বিগতদিনে কৃষকদের ধান কেটে বাড়ি পৌঁছে দিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। তাছাড়া উপজেলার ব্যস্ততম বাণিজ্যিক স্টেশন কোর্টবাজারে সক্রিয়ভাবে সব কর্মসূচি পালন করে আসছিলেন। কমিটি ঘোষণার পূর্বে কয়েক মাস তেমন সক্রিয় না থাকলেও তৃণমূলের দাবি ছিলো সালাহ উদ্দিন কে মূল্যায়ন করে উখিয়া উপজেলা ছাত্রলীগকে চাঙা করতে হবে। যুগ্ন আহবায়ক মনোনীত হওয়ার পর গতকাল উখিয়া আগমন করেন তিনি। মোটরসাইকেল শোভাযাত্রার মাধ্যমে বরণ করে নেন নেতাকর্মীরা। পরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। সেখানে সাংবাদিকদের দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন,”যারা পড়াশোনার সাথে থাকবে,বই-কলম নিয়ে থাকবে আমি ঐরকম ছাত্রলীগ-ই চাই। যারা ত্যাগী,মাঠের কর্মী তাদেরকে আমরা অবশ্যই মূল্যায়ন করবো।”

দীর্ঘদিন পর কমিটি ঘোষণা করায় উচ্ছ্বসিত তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা। তবে অনেকের মাঝে হতাশা ব্যক্ত করতে দেখা যায়।