নরমাল ডেলিভারিতে রেকর্ড: মহেশখালী হাসপাতালে একদিনেই ২৩ শিশুর জন্ম

ফরিদুল আলম দেওয়ান •


বেসরকারি হাসপাতাল ক্লিনিকে সন্তান প্রসবকালীন বিভিন্ন জটিলতার অজুহাতে অধিকহারে সিজারিয়ান অপারেশনের মাধ্যমে ডেলিভারি সম্পন্ন করে প্রসুতিদের নানা জটিলতা সৃষ্টি ও মাতৃ মৃত্যুহার বৃদ্ধির এই সময়ে আশার আলো দেখিয়েছেন দ্বীপ উপজেলার মহেশখালী হাসপাতাল।

একদিনেই ওই হাসপাতালে ২৩ শিশুর নরমাল ডেলিভারি সম্পন্ন করে এযাবৎকালের রেকর্ড সৃষ্টি করেছেন।

২৮ মার্চ রাত থেকে গতকাল বুধবার (২৯ মার্চ) সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘন্টায় হাসপাতালের লেবার ওয়ার্ডে এই ২৩ শিশুর জন্ম হয়।

মহেশখালী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মাহফুজুল হক জানান, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী এসডিজি গোল অর্জনের লক্ষ্যে মাতৃ মৃত্যু ও শিশু মৃত্যুর হার কমানোর উদ্দেশ্যে প্রাতিষ্ঠানিক ডেলিভারি উদ্বুদ্ধ করনে আমরা কাজ করে যাচ্ছি অনেক আগে থেকেই। এরই ফলশ্রুতিতে দুর্গম যোগাযোগের দ্বীপ উপজেলার হাসপাতালে ২৮ মার্চ একদিনেই নরমাল ডেলিভারিতে ১৯ জন সহ ২৯ মার্চ সকাল পর্যন্ত মোট ২৩ জন নবজাতকের জন্মের এই অর্জন এসেছে। মহেশখালী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এখন ১৫ বেডের লেবার ওয়ার্ড চালু করেছি। সিজারিয়ান সেকশন চালু হওয়ার পর তাও সংকুলান হচ্ছেনা। আগে হোম ডেলিভারি হত। এখন প্রাতিষ্ঠানিক ডেলিভারির হার প্রতিদিন বাড়ছে। যেটা মাতৃমৃত্যু ও শিশুমৃত্যুর হার কমানোর জন্য অত্যন্ত জরুরী। আস্তে আস্তে জনসাধারন হাসপাতালে ডেলিভারী করার জন্য সচেতন হচ্ছে। এইটা একটা খুশির খবর।

মহেশখালী হাসপাতালে মেডিকেল অফিসার ডাঃ রেজাউল করিম বলেন, চলতি বছরের গত জানুয়ারী মাসে মহেশখালী হাসপাতালে নরমাল ডেলিভারী সম্পন্ন হয়েছে ২০১ টি। ফেব্রয়ারীতে হয়েছে ১৬৯ টি। চলতি মাসে আজ ২৯ মার্চ পর্যন্ত নরমাল ডেলিভারী সম্পন্ন হয়েছে ২০৩টি। বাড়িতে ডেলিভারীতে মা-বাচ্চার মৃত্যু ঝুুকি বাড়ায়। প্রসবকালীন মা ও বাচ্চার মৃত্যু দুঃখজনক। মহেশখালী হাসপাতালের বহিঃ বিভাগ থেকে শুধুমাত্র ৩ টাকার টিকেট নিয়ে দ্বিতীয় তলায় ৪০ নং রুমে গর্ভবতী মহিলার চেক-আপ করা যায়। শুধুমাত্র ১৫০ টাকায় গর্ভবতী মহিলার কম্পিউটার চেক আপ করার সুবিধা রয়েছে। তিনি নিজ নিজ প্রতিবেশীকে হাসপাতালে গর্ভবতী মহিলার নিয়মিত চেক- আপ করতে উৎসাহিত করার আহ্বান।