দুদিনে ভাসানচরের উদ্দেশ্যে সাড়ে তিন হাজার রোহিঙ্গা!

ইমরান আল মাহমুদ:
বলপূর্বক বাস্তুচ্যুত হয়ে নিপীড়নের মুখে বাংলাদেশে আশ্রিত রোহিঙ্গাদের ভাসানচর স্থানান্তর প্রক্রিয়ার ১৩তম দফায় দুদিনে ভাসানচরের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছে সাড়ে তিন হাজার রোহিঙ্গা শরণার্থী। যাদের সবাই স্বেচ্ছায় ভাসানচর যাচ্ছে বলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা নিশ্চিত করেছেন।

১৩ তম দফার প্রথমদিন ২৯ মার্চ মঙ্গলবার দুপুরে ২১টি বাসে ১হাজার ৯৬ জন রোহিঙ্গা উখিয়া অস্থায়ী ট্রানজিট ক্যাম্প থেকে চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা হয়। একইদিন বিকেলে ১৯টি বাস যোগে ৯০৩ জন রোহিঙ্গা ও তাদের মালামাল বোঝাই ১৪টি কাভার্ড ভ্যান রওনা হয়ে চট্টগ্রাম পৌঁছে।

দ্বিতীয় দিন ৩০ মার্চ বুধবার দুপুরে ২১ টি বাসে করে ১হাজার ২২জন ও বিকেলে ১৭টি বাসে ৫২২জন রোহিঙ্গা ও তাদের মালামাল বোঝাই ১০টি কাভার্ড ভ্যান চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা হয়।

গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন ১৪ এপিবিএন অধিনায়ক নাইমুল হক।
এদিকে,উখিয়ার বিভিন্ন ক্যাম্প থেকে রোহিঙ্গারা তালিকার মাধ্যমে স্বেচ্ছায় ভাসানচর যেতে আগ্রহ প্রকাশ করলে সকল প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে তাদের প্রথমে উখিয়া ডিগ্রী কলেজ অস্থায়ী ট্রানজিট ক্যাম্পে রাখা হয়। সেখান থেকে বাসে করে চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে নিয়ে যাওয়া হয়।

ক্যাম্পে আইনশৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্বে নিয়োজিত ৮ এপিবিএন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(মিডিয়া) মো. কামরান হোসেন জানান,প্রতিবারের মতো এবারের দফায় ভাসানচর যেতে রোহিঙ্গাদের আগ্রহ প্রকাশ করতে দেখা যায়। তবে যেকোনো বিশৃঙ্খলা রোধে ৮এপিবিএন কঠোর নজরদারি বৃদ্ধি করেছে বলে জানান তিনি।

রোহিঙ্গা মাঝিরা জানান, ইতিপূর্বে ভাসানচর যাওয়া রোহিঙ্গারা সেখানকার থাকা খাওয়ার পরিবেশের কথা কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফে আশ্রিত রোহিঙ্গা আত্নীয় স্বজনদের জানালে যারা স্বেচ্ছায় রাজি হয়েছে সেসব রোহিঙ্গাদের তালিকা তৈরি করে ভাসানচর নিয়ে যাচ্ছে। তবে রোহিঙ্গাদের মধ্যে আরও আগ্রহ সৃষ্টি হচ্ছে বলে জানান তিনি।

তবে সরকারের এ বিশেষ উদ্যোগে এক লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থী ভাসানচরে স্থানান্তর করা হবে বলে জানা গেছে।