নিরাপত্তা জোরদার আরো বৃদ্ধির দাবি পর্যটকের

পর্যটকে মুখরিত কক্সবাজার সমুদ্রসৈকত

সাইফুল ইসলাম, কক্সবাজার জার্নাল •

বিকেলের দিকে সৈকতের লাবণী পয়েন্ট থেকে তোলা।

চলমান করোনা ভাইরাসেও পর্যটকে মুখরিত কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতে। কিন্তু স্বাস্থ্যবিধি তেমন মানা হচ্ছে। মৌসুম আসার আগেই পর্যটন স্পটগুলোতে আসতে শুর করেছে দেশি ও বিদেশী পর্যটক। দেশী বিদেশী অতিথিদের পদভারে সম্প্রতি আবারো মূখরিত হয়ে উঠবে সমুদ্র নগরী কক্সবাজার।

এছাড়াও চলমান করোনাকালীন সময় স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা এবং বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্টান বন্ধ থাকায় মৌসুম শুরু আগেই পর্যটকে ঢল নেমেছে কক্সবাজার।

এদিকে শহরের আবাসিক হোটেলগুলো অনেকটাই আগাম বুকিং হতে চলছে। এর সার্বিক দিক বিবেচনা করে প্রশাসনের নিরাপত্তা জোরদার আরো বৃদ্ধির দাবি পর্যটক ও স্থানীয়দের।

গতকাল শুক্রবার পৃথিবীর দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকতে গিয়ে দেখা গেছে, সমুদ্র সৈকতের প্রায় ৫/৬ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে স্থানীয় ও পর্যটক রয়েছে। তারা বিভিন্নভাবে আনন্দ উল্লাসে দিন কাটাচ্ছে কেউ হাটঁছেন, কেউ চেয়ারে বসে আড্ডা দিচ্ছেন, কেউ গোসলে মত্ত, আবার কেউ বিচ বাইক ও ওয়াটার বাইকে চড়ে উপভোগ করছেন।
পর্যটকরা কক্সবাজারে যাতে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার শিকার না হন সে জন্য সাদা পোশাকধারী পুলিশ ও বীচে ট্যুরিস্ট পুলিশ বেশ সক্রিয় রয়েছে বলে জানান প্রশাসন।

হোটেল ব্যবসায়িরা বলছেন, অনেক দিন পর্যটকের আনাগোনা দেখে খুব ভালো লাগছে। কক্সবাজারে প্রায় সাড়ে ৪ শতাধিক হোটেল-মোটেল ও গেস্ট হাউসগুলো একটু হলেও স্বস্তির নিশ্বাস ফেলছে। এবার পর্যটকের পাশাপাশি বিপুল পরিমান স্থানীয়রাও এসেছেন সমুদ্রসৈকতে। তাই বেড়াতে এসে পর্যটকরা যেন কোন ধরণের হয়রানীর শিকার না হন সে বিষয়ে প্রশাসনকে আরো আন্তরিক হওয়ার আহবান জানিয়েছেন তারা।

পৃথিবীর দীর্ঘতম সমুদ্রের বালিয়াড়িতে দাঁড়িয়ে সূর্যাস্ত দেখা, বালুকা বেলায় ছোটাছুটি আর লোনাজলে সমুদ্র স্নানর আকর্ষণে পর্যটকরা ইতোমধ্যে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে ছুটে আসতে শুরু করেছে। অন্যান্য বছরের তুলনায় এবছর যেহেতু করোনা ভাইরাসের কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে কক্সবাজরে পর্যটক আসবে বলে অনেকেই জানিয়েছেন।

ঢাকা ফরিদপুর থেকে আসা পর্যটক জসিম জানান, সামনে আসছে পর্যটন মৌসুম। তাই হোটেল এর রুম পেতে সমস্যা হবে বলেই কয়েকদিন আগে থেকে চলে এসেছি। করোনাকালীন হলেও এখন পরিবেশ ভাল হওয়ায় আমরা সন্তুষ্ট। হোটেলের কক্ষ ভাড়া নিতে কোন সমস্যা হয়নি। কিন্তু সড়কের বেহাল অবস্থা দেখে তেমনটা ভাল লাগছে না।

সৈকতে বেড়াতে আসেন ঢাকার পর্যটক দম্পতি বাবুল ও রানু। তারা বলেন, সৈকতের বালুচরে দাঁড়িয়ে সূর্যাস্ত দেখার আনন্দ তো আছেই। সেই সঙ্গে এখানে দেখা মেলে পাহাড়-সমুদ্রের মেলবন্ধনের অপরুপ দৃশ্য।

এছাড়াও প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিন, রামুর বৌদ্ধবিহার, হিমছড়ির ঝরনা, ইনানীর পাথুরে বীচসহ এখানে দেখার মতো অনেক কিছু রয়েছে। এখন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ তাই ছুটে আসা।

এদিকে পর্যটকদের সার্বিক নিরাপত্তা দিতে এবং স্বাস্থ্যবিধি রক্ষার্থে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তৎপর রয়েছে বলে জানিয়েছেন ট্যুরিস্ট পুলিশ।