রামুতে পাওনা ১০০ টাকা চাইতে গিয়ে ছুরিকাঘাতে যুবক নিহত!

সাইফুল ইসলাম,কক্সবাজার জার্নাল

রামুতে পাওনা ১০০ টাকা চাইতে গিয়ে ছুরিকাঘাতে মো. বাহাদুর (২৫) নামে এক যুবক নিহত হয়েছে। ভয়ঙ্কর এই ঘটনাটি ঘটেছে রামু কাউয়ার খোপ খেনচুর ঘোনা এলাকায়। নিহত বাহাদুর রামু উপজেলার কাউয়ার খোপ ইউনিয়নের খেনচুর ঘোনা, লট উখিয়ার ঘোনা এলাকার মৃত আলীর আহাম্মদের ছেলে। ২৪ জানুয়ারী (বৃহস্পতিবার) ভোর ৫ টার দিকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয়েছে বলে জানান নিহতের বড় ভাই জসিম উদ্দীন। একইদিন অর্থাৎ ২৪ জানুয়ারি রাত ৮ টার দিকে নিজ এলাকায় মরহুমের জানাযার নামাজ সম্পন্ন হয়।

উল্লেখ্য, গত ১৯ জানুয়ারি রাত ৮ টার দিকে একই ইউনিয়নের খেনচুর ঘোনা সুলতান আহাম্মদের বাড়ির সম্মুখে রাস্তার উপরে একই এলাকার মৃত ছিদ্দিক আহাম্মদের ছেলে লোকমান হাকিম ও তার ছেলে কুখ্যাত সন্ত্রাসী জুবাইর হাকিম পাওনা ১০০ টাকা চাইলে প্রকাশ্যে ছুরিকাঘাত করলো বাহাদুরকে। পরে গুরুতর জখম অবস্থায় দ্রুত কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে ভর্তি করান। পরেদিন অবস্থার অবনতি হওয়ায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়।

এ বিষয়ে আহত যুবকের মাতা আনোয়ার বেগম একই এলাকার মৃত ছিদ্দিক আহাম্মদের ছেলে লোকমান হাকিম তার ছেলে কুখ্যাত সন্ত্রাসী জুবাইর হাকিমকে আসামী করে রামু থানায় একটি এজাহার দায়ের করেন। উক্ত আসামীরা পলাতক থাকায় আটক করা সম্ভব হয়নি বলে রামু থানার পুলিশ সুত্রে জানা যায়।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, এক মাস পূর্বে আহত বাহাদুর থেকে অনুনয় বিনয় করে টাকা ফেরত দেয়ার কথা বলে ১০০ টাকা ধার নেয় জুবাইর হাকিম। যথারীতি টাকা ফেরত না দিলে গত ১৯ জানুয়ারি সকালের দিকে তার টাকা খুঁজলে তারা দুইজনের মধ্য কিছু কথা কাটাকাটি হয়। পরে সন্ত্রাসী জুবাইর হাকিম তাকে মারধর, খুনসহ প্রাণ নাশের হুমকি দিয়ে চলে যায়। একইদিন রাত ৮ টার দিকে নিজ বাড়ি যাওয়ার সময় উৎপেতে থাকা সন্ত্রাসী জুবাইর ও তার পিতা লোকমান হাকিম আহত বাহাদুরের গতিরোধ করে।

পরে পিতা লোকমান হাকিম তাকে ঝাপটিয়ে ধরে তার ছেলে সন্ত্রাসী জুবাইর হাকিম তাকে খুনের উদ্দেশ্যে স্ব-জোরে দু-ধারা ডেগার দিয়ে তার পেটে গুরুতর রক্তাক্ত কাটা জখম করে। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে দ্রুত রামু উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কতব্যরত ডাক্তার তার অবস্থা গুরুতর দেখে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে রেফার করেন।