পাগলী টাও মা হয়েছে, বাবা হয়নি কেউ

ডেস্ক নিউজ – কক্সবাজার সদরের খরুলিয়া এলাকায় মানসিক ভারসাম্যহীন ও বাকপ্রতিবন্ধি এক নারী মা হয়েছে। গত মঙ্গলবার বিকালে কক্সবাজার সূর্যের হাসি ক্লিনিকে একটি ফুটফুটে ছেলে সন্তানের জন্ম দিয়েছে পাগলী। কিন্তু কে এই ফুটফুটে সন্তানের বাবা। কি পরিচয়ে দুনিয়ায় এসেছে শিশুটি। কার লালসার শিকার হয়েছে পাগলীটি। কারা এই ধর্ষণের মূল হোতা? এসব প্রশ্নের উত্তর কারো জানা নেই।  হয়ত লোক চক্ষুর আড়ালে রয়েছে মানুষরূপী শয়তানরা। একদিন মানুষের সমাজে চিহ্নিত করা যাবে সেই সব মানুষরূপী জানোয়ারদের। এমনটাই মনে করছেন স্থানীয়রা।

স্থানীয় ছাত্রলীগ নেতা শাহীন মোহাম্মদ রাসেল জানায়, খরুলিয়া বাজারে তিন বছর আগে থেকে অজ্ঞাতনামা এই মানসিক ভারসাম্যহীন ও বাকপ্রতিবন্ধি তরুণীর দেখা মেলে। রাস্তার ধারে কিংবা ওই এলাকার তিন রাস্তার উত্তর পাশে মাছ বাজারে তাকে প্রায়ই শুয়ে বা বসে থাকতে দেখা যায়। কখনো কারো কাছে হাত পেতে খাবার নিতেন না। কেউ নিজ ইচ্ছায় কিছু দিলে সেগুলো নিতেন। তার ঠিকানা কোথায় কেউ জানেন না। বেশ কয়েক মাস আগে ওই পাগলীকে অন্ত:সত্ত্বা দেখে স্থানীয় লোকজন। এতে তিনি ধর্ষণের শিকার হয়েছে বলে অনেকে ধারণা করছেন।

এদিকে গত মঙ্গলবার বিকালে ভারসাম্যহীন তরুণী সন্তান প্রসবের বেদনার খবরে স্থানীয় মুরশিদা বেগম, রোকেয়া বেগম ও ঝিলংজার ইউপি মেম্বার আবদুর রশিদসহ বেশ কয়েকজন তাকে ক্লিনিকে ভর্তি করেন। সেখানে একটি ছেলে সন্তান প্রসব করে বলে জানিয়েছেন কক্সবাজার সূর্যের হাসি ক্লিনিকের পরিচালক মো. ঈসা।

মো. ঈসা জানান, প্রসবের পর অপুষ্টিজনিত কারণে বুধবার দুপুরে বাচ্চাকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালের নবজাতক কেয়ার ইউনিটে পাঠানো হয়েছে। একই সাথে ওই ভারসাম্যহীন নারীকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে রেফার করা হয়।

জানতে চাইলে স্থানীয় ইউপি মেম্বার আব্দুর রশিদ বলেন, সভ্য সমাজে এখনো অসভ্য মানুষ রয়েছে। তাই সমাজে মানসিক ভারসাম্যহীন নারীরাও ধর্ষণের শিকার হয়। আমরা প্রকৃত দোষী ব্যক্তিকে খুঁজে বের করার চেষ্টা করছি।

কক্সবাজার ঝিলংজা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান টিপু সোলতানা জানান, সামাজিক অবক্ষয়ের ফলে সমাজে এমন ঘটনা ঘটছে। মানুষ হিসেবে সত্যিই আমরা আজ লজ্জিত।