প্রেমিকের প্রতারণায় গণধর্ষণের শিকার কিশোরী

ডেস্ক রিপোর্ট – দেড় বছর ধরে দুইজনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক। সেই প্রেমের সূত্র ধরে সরল বিশ্বাসে প্রেমিকের ডাকে সাড়া দিয়ে ঘর থেকে বের হয় মেয়েটি। প্রতারক প্রেমিক বন্ধুদের নিয়ে দল বেঁধে ধর্ষণ করে ১৬ বছর বয়সী ওই কিশোরীকে।

মঙ্গলবার রাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলায় এ ঘটনা। অভিযোগ পেয়ে বুধবার সকালে পুলিশ পাঁচজনকে গ্রেফতার করে। মেয়েটির মা ছয়জনকে আসামি করে থানায় মামলা করেছেন।

পুলিশ ও ভুক্তভোগী কিশোরীর পরিবারের লোকজন জানায়, ওই কিশোরীর সঙ্গে বছর দেড়েক আগে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে স্থানীয় জামাল মিয়ার ছেলে নূর মোহাম্মদের। কয়েকদিন ধরে নূর মোহাম্মদ বন্ধুবান্ধব নিয়ে মেয়েটির বাড়িতে এসে হইহুল্লড় করত; গাছের ফল ছিঁড়ে নিয়ে যেত। এ কারণে গত রোববার নূর মোহাম্মদ ও তার বন্ধুদের বাড়িতে আসতে নিষেধ করেন মেয়েটির মা। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে নূর মোহাম্মদ প্রতিশোধ নেওয়ার পরিকল্পনা করে।

তারা জানায়, মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে সে মেয়েটির বাড়িতে গিয়ে কৌশলে তাকে বের করে আনে। পরে স্থানীয় একটি কবরস্থানের পাশে নির্জন স্থানে নূর মোহাম্মদসহ পাঁচ বন্ধু মেয়েটিকে ধর্ষণ করে। মেয়ে ফিরে না আসায় পরিবারের লোকজন খুঁজতে বের হয়। এ সময় তাদের ডাকাডাকি শুনে ধর্ষকরা পালিয়ে যায়।

মেয়ের কাছে সব ঘটনা শুনে রাতেই তার মা থানায় অভিযোগ দেন। পরে পুলিশ ভোরে অভিযান চালিয়ে কানাইনগর ও কড়ইকান্দি গ্রাম থেকে পাঁচজনকে গ্রেফতার করে। তারা হলো- কানাইনগর গ্রামের জালাল মিয়ার ছেলে নূর মোহাম্মদ, গোলাম মোস্তফার ছেলে রুবেল, মাসুদুর রহমানের ছেলে পারভেজ, ধনু মিয়ার ছেলে হৃদয় ও কড়ইকান্দি গ্রামের সফিকুল ইসলামের ছেলে শাওন। তবে পালিয়ে গেছে কানাইনগর গ্রামের সাহা মিয়ার ছেলে শাকিবুল ইসলাম সবুজ।

স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম বলেন, মেয়েটির পরিবার খুবই দরিদ্র। ছেলেদের একজনের সঙ্গে তার কিছুটা সম্পর্ক ছিল। সে ছেলেটি কৌশলে মেয়েটিকে ঘর থেকে ডেকে নিয়ে এমন কাজ করতে পারে? ন্যক্কারজনক এ ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।

বাঞ্ছারামপুর মডেল থানার ওসি সালাউদ্দিন চৌধুরী জানান, মেয়েটির মায়ের কাছ থেকে অভিযোগ পেয়ে অভিযান চালিয়ে ছয় আসামির পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকি একজনকে গ্রেফতারে অভিযান চলছে। বৃহস্পতিবার ওই কিশোরীকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে পাঠানো হবে।