প্রেমিক জুটির অভয়াশ্রমে পরিণত উখিয়ার ইনানী

কায়সার হামিদ মানিক,উখিয়া :

কক্সবাজারের দ্বিতীয় বৃহত্তম পর্যটন স্পট উখিয়ার ইনানী এখন প্রেমিক জুটির অভয়াশ্রমে পরিনত হয়েছে। বিশেষ করে রোহিঙ্গা ক্যাম্প ভিত্তিক চাকুরীজীবি প্রেমিক জুটিরা অভিভাবকের চোখ ফাকি দিয়ে হোটেল মোটেল গেষ্ট হাউজে স্বামী স্ত্রী পরিচয়ে রাত যাপনের অভিযোগ উঠেছে।

ইনানী পুলিশ ফাঁড়ির সদস্যরা শুক্রবার ভোর রাতে ইনানীস্থ এক হোটেল থেকে প্রেমিক জুটি রূপপতি গ্রামের মৃত শামশুল আলমের ছেলে মোঃ রুবেল (২২) ও জুম্মাপাড়া গ্রামের আব্দুস সোবাহানের মেয়ে খুরশিদা বেগম (১৯) কে আটক করে উখিয়া থানা পুলিশের নিকট সোপর্দ করেছে।

ইনানী বীচ এলাকার সচেতন নাগরিক বেলাল উদ্দিন জানান, রোহিঙ্গা ক্যাম্পে কর্মরত স্থানীয় ও বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা যুবক যুবতীরা নিয়মিত ইনানী বীচে স্বামী স্ত্রী পরিচয়ে বিচরন করলেও অধিকাংশ জুটি মূলত স্বামী স্ত্রী নয়। তারা অনৈতিকতার আশ্রয় নিয়ে বিভিন্ন হোটেল মোটেল গেষ্ট হাউজে রাত যাপন করছে। কিছু কিছু অবৈধ প্রেমিক জুটি পুলিশের হাতে ধরা পড়লেও অধিকাংশ জুটি পার পেয়ে যাচ্ছে।

তিনি বলেন, নারী পুরুষের এসমস্ত অনৈতিকতার প্রভাব পড়ছে স্থানীয় পরিবার গুলোতে। স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শী মোঃ শরিফ জানান, রোহিঙ্গা ক্যাম্পে চাকুরীর সুবাধে অচেনা অজানা যুবক যুবতীরা ছুটিয়ে প্রেম করছে। তারা একে অপরকে একান্ত সান্নিদ্বে পাওয়ার জন্য ইনানীর বিভিন্ন হোটেল মোটেল গেষ্ট হাউজে আশ্রয় নেওয়ার ফলে এলাকার সামাজিক পরিবেশের উপর প্রভাব পড়ছে দাবী করে বলেন, যত্রতত্র চলাফেরা, বেপরোয়া চালচলন, সাগর পাড়ে অবাধে মেলামেশা প্রভৃতি অনৈতিকতার কারনে পর্যটন পরিবেশের অবনতি হচ্ছে।

এঘটনার সত্যতা স্বীকার করে ইনানী পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এস আই আনিসুর রহমান জানান, তিনি ইনানী পুলিশ ফাঁড়িতে যোগদান করার পর থেকে বিভিন্ন হোটেল মোটেল গেষ্ট হাউজে অভিযান চালিয়ে প্রায় শতাধিক প্রেমিক জুটিকে আটক করে উখিয়া থানা পুলিশের নিকট সোপর্দ করেছেন। তিনি বলেন, আটককৃতদের অধিকাংশই রোহিঙ্গা ক্যাম্পে চাকুরী জীবি মহিলা পুরুষ।