বঙ্গোপসাগরে ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘মোচা’ : আঘাত হানতে পারে কক্সবাজার উপকূলেও

ডেস্ক রিপোর্ট •

ফের ঘূর্ণিঝড়ের তাণ্ডবের দরজায় দাঁড়িয়ে কক্সবাজার উপকূল সহ বাংলাদেশ ও ভারতের দক্ষিণবঙ্গ। ঘূর্ণিঝড় মোচা আসছেই, আর কোনও সন্দেহ নেই।

ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের পর সাইক্লোন মোচা নিয়ে দুরবর্তী সতর্ক করেছে আবাহাওয়া অফিস।

২০১৯ সালে ফণী, ২০২০ সালে আমফান, ২০২১ সালে ইয়াস এই সকল ঘূর্ণিঝড় কক্সবাজারে আঘাত হানেনি।

তবে আবহাওয়া অফিস থেকে পাওয়া খবর অনুসারে বর্তমানে বঙ্গোপসাগরে সাইক্লোন মোচাটি একটি নিম্নচাপ রূপে অবস্থান করছে, কিন্তু ৬ ই মে ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হবে দক্ষিণ পূর্ব বঙ্গোপসাগরে।

৭ মে নিম্নচাপে পরিণত হবে। ৮ মে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হবে।

এদিকে, কানাডার সাসকাচোয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের আবহাওয়া ও জলবায়ুবিষয়ক পিএইচডি গবেষক মোস্তফা কামাল পলাশ বুধবার (৩ মে) এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে জানিয়েছেন, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হতে যাওয়া সম্ভব্য ঘূর্ণিঝড় ‘মোচা’ আগামী ১২ মে বাংলাদেশের উপকূলে আঘাত হানতে পারে।

তিনি ধারণা করছেন, ১২ মে দুপুর ১২টার পর থেকে বাংলাদেশের স্থলভাগে কক্সবাজার উপকূল সহ,উত্তর চট্টগ্রাম, নোয়াখালী ও ভোলা জেলার উপকূল দিয়ে আঘাত হানার সম্ভাবনা রয়েছে ঘূর্ণিঝড়টির।

এরই মধ্যে বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হচ্ছে নতুন এক ঘূর্ণিঝড়ের যার নাম দেওয়া হয়েছে মোচা।

এই নামকরন করেছে আরব দেশ ইয়েমেন। মোচা কথাটির অর্থ হল কফির গন্ধ।

এর প্রভাব জেলায় মে মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে দেখা যেতে পারে। ভারতের উড়িষ্যার পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গ.,বাংলাদেশের উপকূলীয় এলঅকায় এই ঝড়ের প্রভাব পড়বে বলে মনে করছেন আবহাওয়াবিদরা।

কিন্তু এখনো সঠিকভাবে বলা যাচ্ছে না যে এর অভিমুখ কোন দিকে হতে চলেছে। তবে এই ঘূর্ণিঝড় বাংলাদেশ ও মায়ানমার উপকূলে আছড়ে পড়ার সম্ভাবনা বেশি।

সাগরে চলাচলকারী মাছ ধরার ট্রলারকে সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছে।

আগামী ১০ই মে এর মধ্যে বঙ্গোপসাগরে এই ঘূর্ণিঝড় তৈরি হয়ে যাবে। এখনকার আপডেট অনুসারে এই ঝড়ের অভিমুখ উড়িষ্যা ও পশ্চিমবঙ্গের দিকে রয়েছে। কিন্তু কিছু আবহাওয়াবিদের মত অনুসারে অবস্থার পরিবর্তন হলে এটি বাংলাদেশেও চলে যেতে পারে। ১৪ ই মে এটির ল্যান্ডফল অর্থাৎ ভূপৃষ্ঠে এসে পৌঁছবে। কিন্তু এর বেশি প্রভাব উড়িষ্যাতে পরতে চলেছে।