হেলমেট বাহিনীর বিরুদ্ধে প্রশাসন চুপ থাকার রহস্য উদঘাটন করা হবে: কাবেরী

ইমরান আল মাহমুদ, কক্সবাজার জার্নাল •

রামুর খুনিয়াপালং ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল হক কে হত্যার উদ্দেশ্যে বাড়িতে সশস্ত্র হামলার প্রতিবাদে সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শনিবার(২৭ মে) বিকেলে ধোয়াপালং এলাকায় অনুষ্ঠিত প্রতিবাদ সভায় সভাপতিত্ব করেন সিনিয়র সহ সভাপতি আব্দুর রাজ্জাক।

প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন রামু উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সোহেল সরওয়ার কাজল। বক্তব্যে তিনি বলেন,” আব্দুল হক চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে গত ইউপি নির্বাচন থেকে ষড়যন্ত্র করে আসছে একটি চক্র। তাদেরকে খুনিয়াপালংবাসী ভালো করে চিনে। এ অঞ্চলের মানুষের মাঝে অশান্তি ছড়িয়ে দিতে তারা আবারও তৎপর হয়ে উঠেছে। যার ফলে আব্দুল হকের বাড়িতে হামলা করেছে। আমরা উপজেলা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। পাশাপাশি জড়িতদের গ্রেফতারে পুলিশের তৎপরতা বৃদ্ধির অনুরোধ করছি।”
আব্দুল হক চেয়ারম্যান কে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন,” ষড়যন্ত্র ১৯৭৫ সাল থেকে শুরু হয়েছে। আপনি খুনিয়াপালং ইউনিয়নের জনগণের সাথে সবসময় থাকবেন। তাদের যেকোনো সমস্যা সমাধানে ফোন রিসিভ করবেন। জনগণকে সাথে নিয়ে ষড়যন্ত্রকারীদের প্রতিহত করবেন। যেকোনো সমস্যায় উপজেলা আওয়ামী লীগ সবসময় জনগণের পাশে রয়েছে।”

প্রধান বক্তা ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক নাজনীন সরওয়ার কাবেরী। তিনি বলেন,” যারা আব্দুল হক চেয়ারম্যান কে হামলা করেছে এসব হেলমেট বাহিনীর বিরুদ্ধে প্রশাসন কেনো চুপ রয়েছে সেটা রহস্য উদঘাটন করা হবে। ৭৫ সাল থেকে এ ষড়যন্ত্র চলে আসতেছে। ডাকাতের দল যারা আব্দুল হকের উপর হামলা করে আসছেন বা পরিকল্পনা করছেন আপনাদের কালো হাত গুড়িয়ে দেওয়া হবে। আমরা বেঁচে থাকতে এ এলাকায় অশান্তি সৃষ্টি হতে দিবেনা।”

বক্তব্য রাখেন উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক শামশুল আলম মণ্ডল, যুগ্ন সম্পাদক নুরুল কবির হেলাল,যুগ্ন সম্পাদক নুরুল ইসলাম সেলিম,সাংগঠনিক সম্পাদক নুরুল হক চৌধুরী,সাংগঠনিক সম্পাদক ইউনুছ রানা চৌধুরী সহ নেতৃবৃন্দ।

বক্তারা বলেন,” আব্দুল হক চেয়ারম্যান একদিনে সৃষ্টি হয়নি। যারা গত ইউপি নির্বাচনে হেরে গিয়ে ষড়যন্ত্র করে আসছেন তাদের চিহ্নিত করে গ্রেফতারে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।”

প্রতিবাদ সভায় চেয়ারম্যান আব্দুল হক বলেন,” গত ২২ মে রাতে কিছু মুখোশধারী আমার বাড়িতে এসে প্রথমে প্রহরীকে মারধর করে। ঘটনাটি সিসিটিভি তে লক্ষ্য করলে তিনজনকে হেলমেট পরিধান করা অবস্থায় দেখা যায়। অন্যদের লুকিয়ে থাকতে দেখা যায়। আমি এ ইউনিয়নে ১০০জন আব্দুল হক সৃষ্টি করেছি। সুতরাং আমাকে মৃত্যুর ভয় দেখিয়ে লাভ হবেনা। জনগণের পাশে থেকে তাদের সেবায় নিজের জীবন বিসর্জন দিতে সবসময় প্রস্তুত আছি।”