ত্রাণ বিতরণে দূর্নীতি করলে কঠোর ব্যবস্থা: বিভাগীয় কমিশনার

গিয়াস উদ্দিন ভুলু, কক্সবাজার জার্নাল •


ঘূণিঝড় মোখার আঘাতে ক্ষতিগ্রস্থ টেকনাফ শাহপরীর দ্বীপ গ্রামগুলো পরিদর্শন করলেন চট্রগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার ড.মো.আমিনুর রহমান।

১৯ মে (শুক্রবার) বিকেলে শাহপরীর দ্বীপের ক্ষতিগ্রস্ত বেশ কয়েকটি গ্রাম পরিদর্শন করার সময় অসহায় জনসাধরনের সাথে কথা বলেন তিনি।

এসময় শাহপরীর দ্বীপ উত্তরপাড়া আশ্রয়কেন্দ্রে ক্ষতিগ্রস্থদের মাঝে নির্মাণ সামগ্রী ও নগদ অর্থ প্রদান করেন।

ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত তালিকায় স্বজন-প্রীতি ও পর্যাপ্ত পরিমান ত্রাণ আছে কিনা গণমাধ্যম কর্মীদের এমন প্রশ্নের জবাবে বিভাগীয় কমিশনার আমিনুর রহমান বলেন, আমি ডিসির সাথে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখছি।

ত্রাণ নিয়ে কোন রকম দূর্নীতি স্বজন-প্রীতি করলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ত্রাণে স্বচ্ছতা রাখতে সেন্টমাটিনে এসিল্যান্ড সার্বক্ষণিক তদারকি করছে। আমাদের পর্যাপ্ত পরিমাণ ত্রাণ আছে উল্লেখ করে তিনি বলেন,আশা রাখি আমরা এখানে কোন অনিয়ম করতে দেবনা। সুনির্দিষ্ট অনিয়মের অভিযোগ পেলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পাশাপাশি দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত কোন পরিবাদ বাদ পরবে না। সরকারি বেসরকারি ভাবে ত্রাণ সহতায় আসতে থাকবে। সেই সহায়তায় যারা অনিয়ম-দুর্নীতি করার চেষ্টা করবে তাদের কাউকে ছাড় দেয়া হবে না।

তিনি আরো বলেন, আমরা পর্যাক্রমে সবাইকে ত্রাণ সহতায় দিচ্ছি। এ ছাড়া হ্নীলা, বাহারছড়া, সদর ইউনিয়নেও ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা করা হচ্ছে।

পরিদর্শনকালে সাথে ছিলেন,জেলা প্রশাসক (ডিসি) মুহাম্মদ শাহীন ইমরান, উপজেলা চেয়ারম্যান নুরুল আলম,ইউএনও মো.কামরুজ্জামান, ওসি আব্দুল হালিম,স্থানীয় ইউপি সদস্য রেজাউল করিম রেজা প্রমুখ।

এ বিষয়ে টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. কামরুজ্জামান বলেন, ঘূর্ণিঝড় মোখা’র আঘাতে ক্ষতিগ্রস্থ টেকনাফ-সেন্টমার্টিনের ৮ হাজারের বেশি পরিবারকে ত্রাণ সহায়তা (শুকনো খাবার) দেয়া হয়েছে। এছাড়া ২০৮’শ পরিবারের মাঝে টিন ও নগদ ৬০০০ হাজার করে বিতরনের কাজ শেষ পর্যায়ে।