বিদায়ে স্নেহভরা স্মৃতিগুলো বারবার কাঁদাবে

মোস্তাক আহমেদ। বয়স ৪৩। চট্টগ্রামের পাহাড়তলিতে জম্মস্থান। একজন বেসরকারি চাকরীজিবী হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করেন। শুধু নিজেকে নয় কক্সবাজার জেলার শত শত বেকারের কর্মসংস্থানে ভুমিকা ছিল তার। উখিয়ার কর্মসংস্থান ত্যাগ করে পাড়ি দিচ্ছে নতুন কর্মসংস্থলে। তাঁর বিদায় বেলায় আপন করে নেয়া মানুষগুলো স্নেহভরা স্মৃতিগুলোতে বারবার নাড়া দিবে।

গ্রামে ও কর্মস্থলে বেকারত্ব দূরীকরণ করে তরুণ উদ্যোক্তা সৃষ্টিতে তাঁর গুরুত্বপুর্ণ ভুমিকা ছিল । ইসলামিক রিলিফে থাকাকালিন সময়ে বাল্যবিবাহ বন্ধে অগ্রনী ভুমিকা পালন করেন। জিরু হাংগার নিশ্চিত করেন। অনেক বেকারদের চাকরীর সুযোগও করে দেন বিশেষ করে কক্সবাজার জেলার যোগ্যদের । স্কুল ফিডিং এ প্রতিটি ছাত্র-ছাত্রী বিস্কিট পায় তার জন্য মনিটরিং সেল সৃষ্টি করেন। ইতিমধ্যে মনিটরিং সেল করে মহেশখালী উপজেলায় সুনাম অর্জন করে। রোহিঙ্গা ইস্যুতে কাজ করে সঠিক বেনিফিশিয়ারি হাতে খাদ্য পৌছানো নিশ্চিত করণ।ডিস্ট্রিবিউশন পয়েন্টে ট্যালি আবিস্কারক। প্রোপার ডাটা সংরক্ষণ। উখিয়ার জনবলের কাজের সুযোগ সৃষ্টিতে অগ্রণী ভুমিকা ছিল তাঁর।

মানুষের ধারে ধারে সেবা নিশ্চিত করে সংস্থা কর্তৃক পুরস্কারও পেয়েছিলেন। ২০০০ সালে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ও সালে সাউদার্ন ইউনিভার্সিটি থেকে স্নাতকোত্তর শেষ করেন।

কর্মজীবনে ইপসাতে ফিল্ড অফিসার হিসেবে কর্মরত ছিলেন দুই বছর। পিসি ডিইএমইউ- হিসেবে দুই বছর। ইসলামিক রিলিফ ওয়ার্ল্ড ওয়াইডে ভিআরআরপি ছিলে এক বছর। পিআরআরপি ফাইটিং ফর হাংগার হিসেবেও কাজ করেন। নওজোয়ানে এডমিন ম্যানেজার এমনকি এডাব্লিওএসি, শীপ ব্রেকিং প্লাটফর্মেও কাজ করেন।

কর্ম স্থলের বিদায় স্মৃতি স্বরণ করে তাঁর অধীনে কাজ করা মোহাম্মদ রবিউল্লাহ রবি বলেন, উখিয়া থেকে প্রিয় মানুষটি প্রয়োজনের তাগিদে অন্য গন্তব্যে চলে যাচ্ছেন। নেতৃত্বগুণে আপনাকে কাছ থেকে যারা দেখেছে মনভরে স্মরণ করবে। উখিয়ার মানুষের নানা কাজে আপনি গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ ছিলেন,থাকবেন। উখিয়ার মানুষ আপনাকে স্মরণ করবে