মেরিন ড্রাইভ সড়কে মোটরসাইকেল ও ইজিবাইক সংঘর্ষ নিহত ৩, আহত ১

আবদুল্লাহ আল আজিজ, কক্সবাজার জার্নাল •

কক্সবাজারের-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কে বেপরোয়া মোটরসাইকেল ও টমটমের (ইজিবাইক) সংঘর্ষে নিহতের সংখ্যা বেড়ে তিনজনে দাঁড়িয়েছে। আহত আরও একজন চিকিৎসাধীন।

উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মোহাম্মদ আলী এতথ্য নিশ্চিত করেছেন।

বুধবার (৭ জুন) দুপুর ২টার দিকে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভে উখিয়ার জালিয়াপালং ইউনিয়নের শফির বিল এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত তিনজন হলেন যশোরের আবদুস সাত্তারের ছেলে এবং ইনানীর পালংকি রেস্টুরেন্টের মার্কেটিং ও সিকিউরিটি ইনচার্জ ইজিবাইক যাত্রী ইমারত মোল্লা (৩৮), বাইক আরোহী উখিয়ার হলদিয়াপালং ইউনিয়নের রুমখাঁ মাতবর পাড়া এলাকার হাজী গুরা মিয়ার ছেলে ও কক্সবাজার সিটি কলেজের এইচএসসি প্রথম বর্ষের ছাত্র মোহাম্মদ আকতার কামাল (২০) এবং রাজাপালং ইউনিয়নের পিনজিরকুল এলাকার ফরিদ মিস্ত্রির ছেলে ও আবুল কাশেম নুরজাহান চৌধুরী উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্র রিদুয়ান (১৭)।

আহত চিকিৎসাধীন ইজিবাইক চালক জয়নাল আবেদীন জালিয়াপালং ইউনিয়নের শফিরবিল এলাকার বাসিন্দা।

প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে ওসি জানান, বুধবার দুপুরে মেরিন ড্রাইভ সড়কের শফির বিল এলাকায় টেকনাফ থেকে আসা দ্রুতগতির মোটরসাইকেল ও পাটুয়ারটেকের দিকে যাওয়া ইজিবাইকের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে গাড়ি দুটির সামনের অংশ দুমড়ে-মুচড়ে গিয়ে বাইকে থাকা দুজন ও টমটমের দুজন গুরুতর আহত হন। খবর পেয়ে ইনানী ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) রেজাউল ঘটনাস্থলে গিয়ে স্থানীয়দের সহায়তায় আহতদের উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠান। হাসপাতালে নেওয়ার পথে ইমারত মোল্লা মারা যান।

অপর আহত তিনজনকে জরুরি বিভাগে চিকিৎসা দেওয়া হয়। সেখানে আকতার কামাল ও রিদুয়ানের অবস্থা আশঙ্কাজনক দেখে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তাদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে রেফার করা হয়। চমেক হাসপাতালে নেওয়ার পথে সন্ধ্যায় তাদের মৃত্যু হয়।

ইনানী পুলিশ ফাঁড়ির আইসি মো. শাহাজাহান জানান, দুর্ঘটনাকবলিত টমটম ও মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়েছে।

এদিকে, কক্সবাজার সিটি কলেজের ছাত্র ও রুমখাঁ মাতবর পাড়ার তরুণ আক্তার কামালের ও রিদুয়ানের মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। অত্যন্ত বিনয়ী আচরণ করে সবার ভালোবাসা অর্জন করা আক্তার কামাল ও রিদুয়ান কে হারিয়ে শোকাভিভূত হয়ে পড়েছে পুরো এলাকার মানুষ।