মাদকের প্রবেশ রোধে কাজ করবে র‍্যাব ১৫

শাহরিয়ার হাসান,বার্তা ২৪

মাদক নিয়ন্ত্রণ ও কক্সবাজারসহ পার্বত্য এলাকার নিরাপত্তা জোরদার করতে শীঘ্রই উদ্বোধন হতে যাচ্ছে র‍্যাবের ১৫ তম ব্যাটেলিয়ান।

ইয়াবার প্রবেশদ্বার হিসেবে পরিচিত কক্সবাজারের এই রুট কেন্দ্রিক মাদকের অবাধ প্রবেশ রোধ করতেই এই ব্যাটেলিয়ান কাজ করবে।

ইতিমধ্যে নতুন এই ব্যাটালিয়ানটি মন্ত্রিসভায় অনুমোদন পেয়েছে। আগামী সপ্তাহের মধ্যে লোকবল নিয়োগ কাজ শেষ হবে। তারপরে যে কোনোদিন কার্যক্রম শুরু করবে র‍্যাবের এই নতুন ব্যাটালিয়ন।

র‍্যাব সূত্রে জানা যায়, কক্সবাজারের ৮টি উপজেলা এবং বান্দরবানের ৭টি উপজেলা এই ব্যাটেলিয়নের আওতায় থাকবে। মাদককে নির্মূল করতে ইয়াবার প্রবেশদ্বার খ্যাত এ সীমান্তে কড়া নজরদারি ও বিশেষ অভিযান চালাবে র‍্যাব।

অন্যদিকে ব্যাটেলিয়ানটি অন্যদের মতোই অন্য সব কাজ করবে। পাশাপাশি পাহাড়ি এবং সমুদ্র উপকূলের নিরাপত্তা নিশ্চিতে জোর দিবে।

এদিকে বর্তমান সময়ে কক্সবাজার-টেকনাফ কেন্দ্রিক মাদক ব্যবসায়ীদের অপতৎপরতা রোধে কাজ করে যাচ্ছে র‍্যাব ৭।

এই ব্যাটেলিয়নের টেকনাফ ক্যাম্পের অধিনায়ক লে. কর্নেল মির্জা সাহেব মাহাতাব বলেন, র‍্যাব ৭ মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যাপক অভিযান চলমান রেখেছে। মূলত আমাদের অভিযানের ফলেই মাদকের বিস্তার রোধ হয়েছে। এখন মাদক নির্মূল করার জন্য র‍্যাব ১৫ ব্যাটেলিয়ান গঠন করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, র‍্যাব  মনে করে ব্যাটেলিয়ান ১৫’র কার্যক্রম শুরু হওয়ার পর মাদকের প্রবেশ রোধ করা সম্ভব হবে।

জানতে চাইলে র‍্যাবের মুখপাত্র মুফতি মাহমুদ খান বলেন, র‍্যাব ১৫ অন্য সব ব্যাটেলিয়নের মতোই কাজ করবে। তবে মাদক বিরোধী অভিযানকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিবে। মন্ত্রণালয় থেকে অনুমোদন পেয়েছে ব্যাটেলিয়নটি। আগামী সপ্তাহের মধ্যে লোক নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ হয়ে যাবে। তারপর মাদক প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

উল্লেখ্য, গত বছরের ১৪ মে থেকে মাদক বিরোধী অভিযান জোরদার করে র‍্যাব। তারপর থেকে অভিযানে র‍্যাব-পুলিশের হাতে কমপক্ষে ৩ শতাধিক মাদক ব্যবসায়ী নিহত হয়। এ সময় ২ লাখের মতো মাদক ব্যবসায়ী আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে আটক হয়। অভিযানে ফলে মাদক চোরাচালান বিক্রি অনেকটাই কমে গেছে।

এদিকে সংশ্লিষ্ট স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, র‍্যাবের ব্যাটেলিয়ান ও বিশেষ অভিযান জোরদারের খবরে ইয়াবা ব্যবসায়ীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। ব্যাপক অভিযানের মুখে স্বাভাবিক জীবনে ফেরা লক্ষ্যে আত্মসমর্পণ করার চেষ্টা করছে শীর্ষ ইয়াবা ব্যবসায়ীরা।

আত্মসমর্পণে ইচ্ছুক ইয়াবা কারবারিরা এখন কক্সবাজার জেলা পুলিশের হেফাজতে রয়েছে। জানা গেছে সেখানে অন্তত ৬০ জনের মতো মাদক ব্যবসায়ী অবস্থান করছে।

চলতি মাসের শেষ দিকে অথবা আগামী মাসের প্রথম সপ্তাহে যে কোনোদিন এই আত্মসমর্পণ প্রক্রিয়ার কাজ সম্পন্ন হবে।

জানা যায়, আত্মসমর্পণের ইচ্ছুক ইয়াবা কারবারিরা সকলেই জেলা গোয়েন্দা পুলিশের মাদক ব্যবসায়ী তালিকার তালিকাভুক্ত।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে কক্সবাজারের পুলিশ সুপার এবিএম মাসুদ হোসেন বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতায় ইয়াবা ব্যবসায়ীরা যখন আর বের হতে পারছিলো না। ঠিক তখন তারা সরকারের কাছে আত্মসমর্পণের আবেদন করেন। সরকারের উপরমহল থেকে সবুজ সংকেত পাওয়ায় পরে এখন আত্মসমর্পণ করার প্রক্রিয়া চলছে।