বিভিন্ন মহলের শোক

মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক,ভাষা সৈনিক মাষ্টার আব্দুস শুকুরের রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন সম্পন্ন


গিয়াস উদ্দিন ভুলু,টেকনাফ


টেকনাফে ১৯৫২ সালের ভাষা সৈনিক,১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক,প্রবীণ শিক্ষক হাজ্বী মোঃ মাষ্টার আব্দুর শুকুর ইন্তেকাল করেছেন। ৯ জানুয়ারী এশার নামাজের পর টেকনাফ পৌরসভা ঈদগাঁহ ময়দানে মরহুমকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সন্মাননা দেওয়ার পর মরহুমের নামাজে জানাযা শেষে স্থানীয় গোরোস্থানে দাফন করা হয়েছে।

পরিবার সুত্রে জানা যায়, ৯ জানুয়ারী বুধবার সকাল পৌনে ৮টারদিকে টেকনাফ পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ড অলিয়াবাদস্থ মরহুম ইসমাঈল সওদাগরের পুত্র,১৯৫২ সালের ভাষা সৈনিক,১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক,বীর মুক্তিযোদ্ধা,টেকনাফ পাইলট হাইস্কুলের অবসর প্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মাষ্টার হাজী আব্দুস শুকুর (৮৪) বার্ধক্যজনিত কারণে নিজ বাড়িতে ইন্তেকাল করেন।

তিনি চমেক শিশু বিভাগের অধ্যাপক একেএম রেজাউল করিম, মোহনা টেলিভিশন ও যুগান্তর পত্রিকার টেকনাফ প্রতিনিধি, দৈনিক আজকের দেশ-বিদেশ পত্রিকার টেকনাফ অফিস প্রধান, টেকনাফ প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক একেএম নুরুল করিম রাসেল ও
টেকনাফ পৌর যুবলীগের সাবেক সভাপতি একেএম মঞ্জুরুল করিম সোহাগ এবং ৪ মেয়ের গর্বিত পিতা ছিলেন।

মৃত্যুকালে অসংখ্য নাত-নাতনীসহ বহু আত্বীয়-স্বজন ও গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। বাদে এশা টেকনাফ পৌর ঈদগাহ মাঠে ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রণয় চাকমার নেতৃত্বে আইন-শৃংখলা বাহিনীর একটি চৌকষ দল গার্ড অব অনার প্রদান করে রাষ্ট্রীয় সম্মান প্রদর্শন করা হয়।

এরপর সাংবাদিক জাবেদ ইকবাল চৌধুরীর সঞ্চালনায় এক স্মৃতি চারণ অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন মুক্তিযোদ্ধা সংগঠক, সাবেক সাংসদ ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব অধ্যাপক মোহাম্মদ আলী, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার জহির আহমদ ও মরহুমের বড়পুত্র ডাঃ একেএম রেজাউল করিম বক্তব্য রাখেন। এরপর নামাজে জানাজা শেষে স্থানীয় গোরস্থানে চিরন্দ্রিায় শায়িত করা হয়।

উল্লেখ্য, তিনি টেকনাফ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়, চট্টগ্রাম এমইএস উচ্চ বিদ্যালয়, সাবরাং নয়াপাড়া আলহাজ্ব হাজী নবী হোসাইন উচ্চ বিদ্যালয়, উখিয়া উচ্চ বিদ্যালয় ও কক্সবাজার বিমান বন্দর উচ্চ বিদ্যালয়ে মহান শিক্ষকতা পেশায় নিয়োজিত ছিলেন। সমাজের এই আলোকিত মহান ব্যক্তির মৃত্যুতে বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতা, পেশীজীবি, শিক্ষক, সাংবাদিকসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা গভীর শোক প্রকাশ করেছেন।