মেরিন ড্রাইভে বাস চালুর নির্দেশনা

কক্সবাজার জার্নাল ডেস্ক :

পর্যটকদের সুবিধার জন্য কক্সবাজার থেকে সাগর ঘেঁষে টেকনাফমুখী মেরিন ড্রাইভ সড়কে বিশেষ বাস সেবা চালুর নির্দেশনা দিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।সোমবার মন্ত্রণালয়ের অধীন বিভিন্ন দপ্তর, চলমান বিভিন্ন প্রকল্প এবং সওজ’র জোন প্রধানদের সঙ্গে সভায় মন্ত্রী এই নির্দেশনা দেন বলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।     

সভায় মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সম্প্রসারণ করে বত্রিশ ফুট করা হবে। পর্যটকদের সুবিধায় সৈকতসংলগ্ন সড়কে বাতি স্থাপন, বিভিন্ন পয়েন্টে বিশ্রামাগার নির্মাণেরও নির্দেশনা দেন তিনি।

পযটক আকর্ষণের জন্য কক্সবাজার থেকে টেকনাফ পর্যন্ত ৮০ কিলোমিটার মেরিন ড্রাইভ সড়কের একপাশে রয়েছে বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত, অন্যপাশে পাহাড়ের সারি। নয়নাভিরাম এই সড়ক ধরে প্রতিদিন বহু পর্যটক হিমছড়ি, ইনানী সৈকতে যাতায়াত করেন। এরই মধ্যে সড়কটির বিভিন্ন পয়েন্টে গড়ে উঠেছে হোটেল-মোটেল।  
সড়ক বিভাগের তত্ত্বাবধানে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী হাজার কোটি টাকার বেশি ব্যয়ে তিন ধাপে এই সড়ক নির্মাণ করেছে। ২০১৭ সালের মে মাসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এটির উদ্বোধন করেন।

সোমবারের সভায় সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী পার্বত্য এলাকার যোগাযোগ ব্যবস্থা পর্যটনের উপযোগী করে গড়ে তোলায় গুরুত্ব দিয়ে বলেন, প্রতিটি সড়কের বেইলি সেতুগুলো প্রতিস্থাপনসহ চলমান নির্মাণকাজ যথাসময়ে শেষ করতে হবে।

আগামী বর্ষা মৌসুমের আগেই সড়ক মেরামত ও সংস্কার কাজ শেষ করার নির্দেশনা দিয়ে তিনি বলেন, দেশের সড়ক-মহাসড়ক থেকে কাঁচাবাজার ও ভাসমান দোকানপাট উচ্ছেদ করে মূলসড়ক উদ্ধারের যে কাজ শুরু হয়েছে, তা সফলভাবে শেষ করতে হবে।

পৌরসভা এলাকায় মহাসড়কের পাশে আবর্জনামুক্ত রাখতে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরকে কঠোর নির্দেশনা দিয়ে কাদের বলেন, পরবর্তী পর্যায়ে সড়কপাশের অবৈধ স্থাপনা সরানোরও উদ্যোগ নেওয়া হবে।ইতোমধ্যে দেশের প্রথম সীমান্ত সড়কের নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে বলেও উল্লেখ করেন মন্ত্রী।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, আগামী মাসে দ্বিতীয় সাসেক সড়ক সংযোগ প্রকল্পের এর আওতায় প্রায় ১২ হাজার কোটি ব্যয়ে এলেঙ্গা-রংপুর জাতীয় মহাসড়ক চারলেনে উন্নীতকরণের শুরু হতে যাচ্ছে।

এছাড়া জয়দেবপুর-এলেঙ্গা মহাসড়ক চারলেনে উন্নীতকরণ কাজ শেষ হতে চলেছে। আগামী জুনে সড়কটি যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হবে।

সভায় সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব মো. নজরুল ইসলাম, সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী ইবনে আলম হাসান, বিআরটিএ চেয়ারম্যান মো. মশিয়ার রহমান, বিআরটিসি চেয়ারম্যান ফরিদ আহমদ ভুইয়া, ডিটিসিএর নির্বাহী পরিচালক খন্দকার রাকিবুর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।