রাজনৈতিক কারণে রোহিঙ্গাদের সংজ্ঞা বদলানোর কথা ভাবছে বাংলাদেশ

ফাইল ছবি

ডেস্ক রিপোর্ট- বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেছেন, রোহিঙ্গাদের পরিচয়ের সংজ্ঞায় ‘জোরপূর্বক বহিষ্কৃত মিয়ানমারের অধিবাসী’র জায়গায় ‘রাখাইন রাজ্য থেকে স্থানচ্যুত ব্যক্তি’ করার বিষয়টি এখনও বিবেচনাধীন রয়েছে।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ডিরেক্টর জেনারেল দেলোয়ার হোসেন বলেন, “বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের সাথে গত সপ্তাহের আলোচনায় মিয়ানমারের কর্তৃপক্ষ এই বিষয়টির উত্থাপন করে। আমরা এ ব্যাপারে তাদের বক্তব্য শুনেছি”।

তিনি বলেন, “মন্ত্রণালয়ের নীতি নির্ধারকদের মধ্যে এটা নিয়ে আলোচনা চলছে। তবে এখনও এ ব্যাপারে কোন সিদ্ধান্ত হয়নি”।

নেপিদোতে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন, এমন আরেকজন বাংলাদেশের কর্মকর্তা বলেন যে, শর্ত পরিবর্তনের ব্যাপারে মিয়ানমারের প্রস্তাবে বাংলাদেশ এখনও কোন সম্মতি দেয়নি।

কক্সবাজারে রোহিঙ্গাদের মধ্যে সমন্বয়ের মূল দায়িত্ব পালন করছে রিফিউজি, রিলিফ অ্যান্ড রিপ্যাট্রিয়েশান কমিশন (আরআরআরসি)। এই কমিশনের আবুল কালাম বললেন, “এ ধরনের কোন নির্দেশনা আমি পাইনি”।

তবে, বিশেষজ্ঞরা বিশ্বাস করেন যে, রোহিঙ্গাদের সংজ্ঞায় এই পরিবর্তন আনলে মিয়ানমারের নাগরিক হিসেবে অধিকার হারাবে রোহিঙ্গারা।

যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রদূত হুমায়ূন কবির বলেন, “ভাষায় যা-ই থাক না কেন, রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্ব ইস্যু নিয়ে সিদ্ধান্ত নেয়ার চূড়ান্ত কর্তৃপক্ষ হলো মিয়ানমার সরকার। আমরা চাই রোহিঙ্গারা রাখাইনে সম্মান ও মর্যাদা নিয়ে বাস করুক”।

“আমরা প্রত্যাবাসনকৃত শরণার্থীদের জন্য বাস্তব উন্নয়ন দেখতে চাই এবং সেটাই এখন আমাদের প্রধান বিবেচ্য”।

স্বাধীন অভিবাসী বিশেষজ্ঞ আসিফ মুনির বলেন যে, মিয়ানমার তাদের স্টেট কাউন্সিলের ফেসবুক পেজে বিবৃতিটি প্রকাশ করেছে, যেটা কোন অফিসিয়াল চ্যানেল নয়।

মিয়ানমারের আচরণকে তিনি খুবই ‘উসকানিমূলক’ হিসেবে আখ্যা দেন।

মুনির বলেন, “বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষ যদিও আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের প্রস্তাবে সম্মত হয়নি, কিন্তু মিয়ানমার অনানুষ্ঠানিক চ্যানেলে তাদের বিবৃতি প্রকাশ করেছে যাতে এতে বাংলাদেশীদের প্রতিক্রিয়া দেখা যায়। বাংলাদেশ যদি কড়াভাবে এর বিরোধিতা করে, তাহলে মিয়ানমার হয়তো দাবি করবে যে এটা তাদের অফিসিয়াল কোন চ্যানেল নয়”।

“এই প্রস্তাব রোহিঙ্গাদের পরিচিতি এবং মিয়ানমারের নাগরিকত্বের বিষয়টির ক্ষতি করবে”। সাউথ এশিয়ান মনিটর