রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে শাহজাহান চৌধুরীর অভিযোগ

ডেস্ক নিউজ:কক্সবাজার-৪ (উখিয়া-টেকনাফ) সংসদীয় আসনের টেকনাফ উপজেলার ২৫টি ভোট কেন্দ্রকে চরম ঝুঁকিপূর্ণ উল্লেখ করে ব্যবস্থা নিতে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে আবেদন করেছেন বিএনপির প্রার্থী শাহজাহান চৌধুরী।

আবেদনটির অনুলিপি প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ বিভিন্ন স্থানে পাঠানো হয়েছে। সোমবার দুপুরে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে আবেদনটি জমা দিয়েছেন ধানের শীষের এ প্রার্থী।

শাহজাহান চৌধুরী আবেদনে উল্লেখ করেন, ‘আমি কক্সবাজার-৪ আসনের জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট মনোনীত বিএনপির প্রার্থী। এ আসনে ইতোপূর্বেও ৪ বারের সংসদ সদস্য নির্বাচিত ছিলাম। একাদশ জাতীয় নির্বাচনে এ আসনে নৌকার প্রার্থী হয়েছেন দেশের সর্বাধিক বিতর্কিত সংসদ সদস্য আব্দুর রহমান বদির স্ত্রী শাহিনা আকতার। এমপি বদি প্রার্থী না হওয়া স্বত্বেও তার স্ত্রীর বিজয় নিশ্চিত করতে টেকনাফ উপজেলার বেশ কিছু ভোট কেন্দ্র দখলের নীল নকশা তৈরি করেছে। ইতিমধ্যে সভা সমাবেশে এমপি বদি প্রকাশ্যে বলে বেড়াচ্ছেন দেখিয়ে ভোট দিতে না পারলে ভোট কেন্দ্রে আসার দরকার নেই।

ইতোমধ্যে বিএনপির নেতাকর্মীদের বাড়িতে হামলা, মামালা ও গণগ্রেফতার করে উল্লেখিত এলাকার নেতাকর্মীদের এলাকা ছাড়া করা হচ্ছে। বাড়ি বাড়ি গিয়ে বিএনপি নেতা-কর্মীকে এলাকা ছেড়ে চলে না গেলে ক্রসফায়ার দিয়ে হত্যা ও বাড়ি-ঘর ভেঙে দেয়ার হুমকি দেয়া হচ্ছে। গত ১৫ ডিসেম্বর টেকনাফ সদর ইউনিয়নের হাবিরছড়া ফরেস্ট অফিসের সামনে জনসভায় এমপি বদি ও তার সহযোগীরা প্রকাশ্যে বক্তৃতায় ভোটারদের ভোট কেন্দ্রে না যাওয়ার হুমকি দিয়েছে এবং টেকনাফ এলাকায় ধানের শীষের কোনো পোষ্টার লাগাতে দেয়নি।

৫ ডিসেম্বর সাবরাং হাইস্কুল মাঠে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করে জনসভায় প্রাণনাশের হুমকি ধমকি প্রদান করে সাধারণ ভোটারদের মাঝে ভয় ও আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে। ৩১ ডিসেম্বর উখিয়া উপজেলার ফলিয়া পাড়ায় প্রকাশ্যে আমার গাড়ি ভাঙচুর করবে, টেকনাফ যেতে দিবেনা; এমনকি আমার প্রাণনাশেরও প্রকাশ্যে হুমকি দেয়া হয়েছে। এছাড়াও তার স্ত্রীকে যারা ভোট দিবে না তাদের নাম ঠিকানা তাদের জমা দেয়ার নির্দেশ দিয়ে নির্বাচনী এলাকায় এক ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে।’

বিএনপি প্রার্থী আরও উল্লেখ করেন, ‘এমপি বদির অশ্লীল ভাষায় গালি-গালাজ ও হুমকির বিষয়টি ইতিমধ্যে স্থানীয় ও জাতীয় পত্রিকায় ফলাও করে সংবাদ প্রচারের পাশাপাশি সামাজিক যোগযোগ মাধ্যমে ব্যাপক হারে প্রচার পেয়েছে। তার এ ঔদ্বত্যপূর্ণ আচরণে নেতা-কর্মীসহ আমি নিজেও চরম আতঙ্কে রয়েছি।’