রোহিঙ্গা ক্যাম্পে চাকরীতে স্থানীয়দের অগ্রাধিকারের দাবীতে চট্টগ্রামস্থ উখিয়া সমিতির মানববন্ধন

শামীমুল ইসলাম,চট্টগ্রাম থেকে :

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে কর্মরত এনজিওতে স্হানীয়দের চাকরীতে অগ্রাধিকার ও রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণের দাবীতে মানববন্ধন করেছে চট্রগ্রামস্হ উখিয়া সমিতি আজ বিকেল ৪ টা ৩০ মিনিটের দিকে চট্রগ্রাম প্রেসক্লাবের সামনে অনুষ্ঠিত হয় এই মানববন্ধন।

মানববন্ধনে বক্তারা জাতিসংঘ ও সরকারের প্রতি জোর দাবি জানিয়ে বলেন, উখিয়া টেকনাফ তথা কক্সবাজার কে রক্ষা করতে অতি দ্রুত রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের ব্যবস্থা নিন।উখিয়া টেকনাফের প্রাকৃতিক বিপর্যয় রোধ, আইন শৃঙ্খলা ব্যবস্থার উন্নয়ন, বিধব্বস্থ অবকাঠামোর রক্ষণাবেক্ষণ, রোহিঙ্গা ক্যাম্পে গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি ও তাদের অবাধ বিচরণ বন্ধ করা, সড়কে নিরাপত্তার কারণে ভারী যানবাহন চলাচলে নির্দিষ্ট সময় ঠিক করা, রোহিঙ্গাদের বাসস্থানের জন্য উজাড়কৃত বনাঞ্চল রক্ষায় নতুন বনায়নে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ এবং বিভিন্ন এনজিওতে স্থানীয় শিক্ষিত তরুণ-তরুণীদের চাকুরীতে অগ্রাধিকার নিশ্চিত করণ।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন,রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে মায়ানমার বার বার তালবাহানা করছে, এদিকে দীর্ঘদিন বিশাল জনগোষ্ঠীর অবস্থানের কারণে উখিয়া টেকনাফের প্রাকৃতিক পরিবেশ, আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নাজুক হয়ে পড়ছে। এ অবস্থা থেকে উত্তরণে জাতি সংঘের মাধ্যমে রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে মায়ানমারের উপর চাপ প্রয়োগ করতে বক্তারা সরকারকে পরামর্শ দেন।

এসময় বক্তারা আরো বলেন,বর্তমানে দেশি-বিদেশি বিভিন্ন এনজিএ সংস্হা ক্যাম্পে কাজ করছে।এসব এনজিএ সংস্হার কার্জক্রম পরিচালনা করার জন্য বিপুল পরিমান কর্মী প্রয়োজন।কিন্তু সংস্হাগুলোর কিছু অসাধু কর্মকর্তা এসব কর্মী নিয়োগের ক্ষেত্রে স্বজনপ্রীতিতে লিপ্ত।স্হানীয় শিক্ষিত বেকার যুবক-যুবতীদের কে বাদ দিয়ে তাদের আত্মীয়স্বজনকে নিয়োগ দিচ্ছে।
কিন্তু এই রোহিঙ্গাদের কারণে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্হ হয়েছে উখিয়া-টেকনাফের স্হানীয় জনগণ। স্হানীয়দের ফসলি জমিতে পর্যন্ত রোহিঙ্গাদের কে জায়গা দিতে হয়েছে।সুতারাং চাকরীর ক্ষেত্রে কেন স্হানীয়রা বঞ্চিত পরিমান কর্মী প্রয়োজন।

কিন্তু সংস্হাগুলোর কিছু অসাধু কর্মকর্তা এসব কর্মী নিয়োগের ক্ষেত্রে স্বজনপ্রীতিতে লিপ্ত।স্হানীয় শিক্ষিত বেকার যুবক-যুবতীদের কে বাদ দিয়ে তাদের আত্মীয়স্বজনকে নিয়োগ দিচ্ছে।

কিন্তু এই রোহিঙ্গাদের কারণে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্হ হয়েছে উখিয়া-টেকনাফের স্হানীয় জনগণ।স্হানীয়দের ফসলি জমিতে পর্যন্ত রোহিঙ্গাদের কে জায়গা দিতে হয়েছে।সুতারাং চাকরীর ক্ষেত্রে কেন স্হানীয়রা বঞ্চিত হবে এমন প্রশ্ন ছুড়ে দেন এনজিও সংস্হাগুলোর প্রতি।

মানববন্ধনে বক্তরা আরো বলেন,বর্তমানে যাদের কে চাকরী থেকে ছাঁটাই করেছে তাদের চাকরী ফিরিয়ে দিয়ে নিয়োগের ক্ষেত্রে স্হানীয়দের জন্য ৭০% কোটা দাবী করেন। উখিয়া-টেকনাফের চট্রগ্রামে অবস্হানরত অসংখ্য ছাত্র-ছাত্রীরাও মানববন্ধনে অংশগ্রহন করেছে।

চট্রগ্রামস্হ ‘উখিয়া সমিতির’ সহ সভাপতি অধ্যাপক এ.কে.এম নুরুল বশর সুজনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল হকের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে প্রধান অতিতি ছিলেন এডভোকেট মোহাম্মদ ছমিউদ্দিন।

অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন আজিজুল হক, ইঞ্জিনিয়ার আরিফুল ইসলাম, অধ্যাপক মোজাফফর আহমেদ, ডা: মোহাম্মদ আয়াজ, পরিতোষ বডুয়া, এম এ ফজল, ইফতিয়াজ নুর নিশান, আবদুল মোমেন, জালাল উদ্দিন কাওসার, রফিকুল ইসলাম রইসুল, ওয়াহিদুর রহমান, মোশারফ হোসেন, শামীমুল ইসলাম ফয়সাল, মামুনুর রশীদ প্রমুখ।