শুক্রবার রাতের ফজিলতপূর্ণ ইবাদত

জুমার দিন সপ্তাহের সবচেয়ে শ্রেষ্ঠ ও মর্যাদাপূর্ণ একটি দিন। মহান রাব্বুল আলামিন আল্লাহ তায়ালা মুসলিম সমাজে এই দিনটিকে পৃথিবীর অন্যতম তাৎপর্যবহ দিবস হিসেবে বিশেষ মর্যাদায় ভূষিত করেছেন। ইসলামের দৃষ্টিতে পবিত্র জুমা ও জুমাবারের রাত-দিনের রয়েছে অপরিসীম গুরুত্ব। এই দিনে রাসূল (সা.) বেশি করে আমল করার কথা বলেছেন। এমনকি দিনের পাশাপাশি রাতের আমলও অনেকবেশি তাৎপর্যপূর্ণ।

ইসলামী বিধান মতে, আগে রাত এবং পরে দিন আসে। সূর্য অস্ত যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই পরের দিন আরম্ভ হয়ে যায়। শুক্রবার (বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত) রাত ও দিন সপ্তাহের রাত ও দিনগুলোর মধ্যে সর্বোত্তম বলে হাদিস শরিফে বর্ণিত আছে। আমাদের প্রিয় নবী হজরত মুহাম্মাদ (সা.) বলেছেন, তোমরা উজ্জ্বল দিনে ও উজ্জ্বল রাতে অর্থাৎ শুক্রবার দিনে ও রাতে আমার ওপর অধিক পরিমাণে দরুদ শরিফ পাঠ করো।

এ দিনের দরুদ শরিফ আমার নিকট পাঠানো হয়। আর এতে করে আমলনামায় অধিক পুণ্য লেখা হয়। যে ব্যক্তি প্রত্যেক জুমার রাতে দু’রাকাত নামাজের প্রত্যেক রাকাতে সূরা ফাতেহা একবার, আয়াতুল কুরসী একবার ও সূরা ইযাযুলযিলা তিনবার পাঠ করে, সালাম অন্তে ১০০ বার এ দোয়া ‘আল্লাহুম্মা ইন্নিআউবুবিকা মিন আযাবিল কবরে লা-ইলা-হা ইল্লা আন্তা’ পড়ে, তবে আল্লাহ তায়ালা তার কবরের চাপ নিষ্পেষণ ও অন্যান্য আযাব ক্ষমা করে দেবেন। (দোজখের আযাব ও বেহেস্তের শান্তি)।

এছাড়াও তাহজ্জুদের নামাজ পড়া এবং বেশি বেশি নফল ইবাদত করতে হবে। আল্লাহ তায়ালা আমাদের সবাইকে তার ইবাদত করার তৌফিক দান করুন। আমিন।