সর্বোচ্চ বয়সী সিকান্দরের ইন্তেকাল

সেলিম উদ্দীন,ঈদগাঁও

দেশের সর্বোচ্চ বয়সী সিকান্দর আর নেই ইন্নালি…. রাজেউন। ১ জানুয়ারী মঙলবার সকালে নিজ বাস ভবনে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।

তিনি কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার খুটাখালী ইউনিয়নের দক্ষিণ পাড়ার মরহুম হারু মিয়ার পুত্র। দীর্ঘ বয়সের ভারে ন্যুয়ে পড়া এ মানুষটির মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া বিরাজ করছে।

দেশে গড় আয়ু যেখানে ৭০ বছর সেখানে প্রায় দেড়শত বছরের জীবিত সিকান্দরকে নিয়ে ইতিমধ্যে পত্র পত্রিকা- সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও এলাকাবাসির মধ্যে নানা কৌতুহল সৃষ্টি হয়।

খোঁজ খবর নিয়ে জানা যায়, চকরিয়া উপজেলার খুটাখালী ইউনিয়নের দক্ষিন পাড়ার বাসিন্দা মোঃ সিকান্দর। স্থানীয়দের দেয়া ভাষ্যমতে, মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তার বয়স ১৫০ এর কম-বেশি হবে।

সূত্র মতে সিকান্দরের জন্ম হয়েছে ব্রিটিশ যুদ্ধের অনেক আগে। সিকান্দরের পিতার নাম মৃত হারু মিয়া ও মাতার নাম মৃত ছুরুত বেগম। সে ব্রিটিশ যুদ্ধের আগে বিভিন্ন গ্রাম থেকে পৃথক ভাবে বিয়ে করেন ৩টি। কালের বির্বতনে ৩ স্ত্রীর কোনটি বেঁচে নেই। বর্তমানে তার ৭ ছেলে ৩ মেয়ে রয়েছে।
সিকান্দরের ৩য়পুত্র ছৈয়দ আলম জানান, তার বড় ভাইয়ের বয়স ১০০ এর উপরে বোনের বয়সও ৯০ ছুই ছুই।

সিকান্দরের ছোট ছেলে ব্যবসায়ী আলতাজ জানায়, ছোটবেলা থেকে বাবাকে বৃদ্ধাবস্থায় দেখে আসছি। কিছুদিন আগেও বাবা পায়ে হেটে মসজিদে গিয়ে নামাজ পড়েছেন। তিনি ধারনা করছে অনুমানিক ১৪০-১৪৫ বছরের বয়সের ভারে ক্রমান্বয়ে ন্যুয়ে পড়ায় এবাদত করতে মসজিদে যেতে না পারলেও মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি সারারাত তাজবিহ্ নিয়ে দোয়া দুরুত পাঠ করেন।
এদিন বাদে আছর কিশলয় স্কুল মাঠে তার নামাজে জানাযা আদায় করা হবে বলে নিশ্চিত করেন মরহুমের পুত্র আলতাজ।