” সালামে ছলনা “


আলমগীর মাহমুদ  :

আদাব,নমস্কার, সালাম–মূল্যমানে অপরিমাপেয় শব্দ।শ্রদ্ধা,সম্মান প্রকাশের আদব।তাহ নিয়ে কখনও হয়নি বাড়াবাড়ি, প্রশ্নও। সন্মান দেখানোর ধর্মীয় বিধিটি আজ সামাজিক রেওয়াজেরই অংশ। প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে লালিত। হৃদয়ের মণিকোঠায় তারঁ আবাস।

মানুষ যত সভ্য হয়েছে ততই নয় ছয়, তের এগার, 420, ১৪ নম্বরী আবিভাব ঘটিয়ে কেউ বনেছে সুবিধাবাদী,পূঁজিপতি আর কেউ প্রলেতারিয়েত।এইভাবে সামাজিক কিছু অনাচার,সংস্কৃতির নামে অপসংস্কৃতি, অশুদ্ধাচার সভ্যতার প্রবাহমানধারায় ক্যান্সারের মতই আছে প্রবাহমান।

ইসলাম ধর্মের ধর্মীয় আচরণ সালাম। পরষ্পরের দেখা হলে দর্শনের সাথে সাথে ‘আসসালামু আলাইকুম ‘ আরবী শব্দ যার অর্থ আপনার উপর শান্তি বর্ষিত হউক।আল্লাহর পক্ষ থেকে আপনার উপর শান্তি বর্ষিত হউক তার কামনা। উত্তরে ‘ওয়ালাইকুম সালাম ”আপনার উপর ও শান্তি বর্ষিত হউক।’

বিশ্বনবী মোহামুদুর রাসুলুল্লাহ (সঃ) বলেন ” তোমাদের মধ্যে সালামের বিনিময় কর”

এইযুগে অফিস আদালতে সম্মান দেখিয়ে ডাকার একটি মাধ্যম হয়ে আছে এই সালাম।”করিম স্যারকে আমি সালাম দিয়েছি বল” পিয়ন বার্তা পৌঁছায়”বড় স্যার আপনারে সালাম দিছে” মুল বার্তা ‘স্যার আপনারে বুলায়’।

সালাম ‘দেয়া নেয়ার বিধিবিধান আছে। বড় স্যার সালাম দিল ঐটা যেমন কায়দা নয়,সালাম শুনার পর উত্তর না দেয়া আরো একটা মারাত্মক অপরাধ। ঐ সালাম শুনে উনি হাজির উত্তর দেননি। দিবেওবা কেন ‘আসসালামু আলাইকুম ‘ আপনার উপর শান্তি বর্ষিত হউক সে মুদ্দা কথাটাতো এখানে নেই।সালামের নাম হয়েছে ব্যবহার।

এখানে যে শব্দ সালামের ওটাতে মুলবিধির ঘটেছে লংঘন। আমাদের সৃষ্ট, সালাম ‘শব্দের মোড়কে কাউকে ডাক।’সালাম’ শব্দটা ডাকে ব্যবহার এদেশে সন্মানী রেওয়াজ।

বাংলা শব্দ সম্ভারে কি এতই শব্দের মড়ক লেগেছে
সালামের মতো পবিত্র শব্দটাকে যুক্তি আর অজুহাতের বলিতে বলির পাঁঠা বানাতে হবে!

“আসুন ফুলদানিতে ফুল রাখা শিখি।সভ্য হই — ‘সত্য প্রকাশে’।”

লেখক:– আলমগীর মাহমুদ

বিভাগীয় প্রধান (সমাজবিজ্ঞান বিভাগ)

উখিয়া কলেজ, কক্সবাজার।
alamgir83cox@gmail.com