সেন্টমার্টিনে হোটেলে মিললো পর্যটকের লাশ!

গিয়াস উদ্দিন ভুলু,কক্সবাজার জার্নাল ডটকম •

ফাইল ছবি

প্রবালদ্বীপ সেন্টমাটিনে ভ্রমন করতে এসে বাচ্চু নামে এক পযটক ঘুমন্ত অবস্থায় মৃত্যু হয়েছে। নিহত পর্যটক হচ্ছে,
ঢাকা নারায়ণগঞ্জ জেলার অন্তর্গত রুপগঞ্জ পূর্ব ডেমরা বাজার চমপাড়া এলাকার মৃত আব্দুল হামিদের পুত্র।

ঘটনাটির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন সেন্টমার্টিন দ্বীপে কর্মরত পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ইন্সপেক্টর মাসুদুর রহমান।

তিনি জানান, ২১ ফেব্রুয়ারি (রবিবার) দুপুরে ইপসিটা কমপিউটার পিটি ঢাকা থেকে ৭ জনের একটি গ্রুপ সেন্টমাটিন দ্বীপ ভ্রমনে করতে এসে রাত্রী যাপন করার জন্য দ্বীপে থাকা নীল দীগন্ত রিসোর্টের ছায়া বিথি কটেজ’র ১৭,১৮ নাম্বা রুমে উঠে।

নিহত ব্যাক্তির সাথে বেড়াতে আসা সফর সঙ্গী সজীব বলেন, সেন্টমার্টিনে পৌছার পর বিকালের দিকে আমাদের ছেড়ে না ফেরার দেশে চলে যাওয়া বাচ্চু মিয়া বুকে ব্যাথা নিয়ে অসুস্থ বোধ করলে আমরা সবাই মিলে তাকে দ্বীপে থাকা হাসপাতালে নিয়ে যায় সেখানে ডা.সৈকত কাছ থেকে চিকিৎসা সেবা নিয়ে ঔষুধ নিয়ে চলে আসি।

এরপর রাতে আমরা যে যার কক্ষে ভাগ হয়ে ঘুমিয়ে পড়ি। সকালে সবাই জেগে উঠলে বাচ্চু মিয়ার কোন সাড়া শব্দ না পেয়ে আমরা তাকে অনেক ডাকাডাকি করি। কিন্তু আমাদের ডাকে সে সাঁড়া দেয়নি। এরপর আমরা বিষয়টি স্থানীয় আইন-শৃংখলা বাহিনী ও চেয়ারম্যানকে অবগত করি।
তারা হোটেলে এসে রুম থেকে বাচ্চুর নিথর দেহটি উদ্ধার করে।

এব্যাপারে সেন্টমার্টিনের চেয়ারম্যান নুর আহমদ জানান, নিহত ব্যাক্তির সাথে ভ্রমণে আসা সঙ্গীরা জানিয়েছেন,
রাতে বুকে ব্যাথা করলে ফার্মেসী থেকে ঔষধ খেয়ে ঘুমিয়ে পড়েছিল। সকালে সবাই ঘুম থেকে উঠে যায়। সে ঘুম থেকে না উঠলে সবাই মিলে তাকে অনেক ডাকাডাকি করতে থাকে। এরপর রুমের তালা ভেঙ্গে তাকে মৃত অবস্থায় দেখতে পান।
রবিবার ঢাকা বিসিএস কম্পিউটার সিটিতে কর্মরত ৭ জনের একটি গ্রুপ সেন্টমার্টিন ভ্রমন করতে এসে নীল দিগন্ত রিসোর্টে উঠেছিল।

টেকনাফ মড়েল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাফিজুর রহমান জানান, সেন্টমার্টিন’র একটি হোটেল থেকে উদ্ধার করা মরদেহটি টেকনাফ নিয়ে আসার পর ময়নাতদন্ত রিপোর্ট তৈরী করার জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরন করা হয়েছেে। রিপোর্ট হাতে পেলে মৃত্যুর আসল রহস্য জানতে পারবেন বলে জানান তিনি।