সৈকতের আকাশে উড়ছে হরেক রকমের ঘুড়ি

সাইফুল ইসলাম:

আকাশে উড়ছে বাংলা ঘুড়ির পাশাপাশি আধুনিক বেসাতি, ড্রাগন, ডেল্টা, মাছরাঙা, ঈগল, ডলফিন ও অক্টোপাস বাঘ, অজগর, হাঙর, ডলফিন, জেলি ফিশসহ আরও কত প্রাণী। আর দর্শক প্রাণভরে উপভোগ করছে সেই দৃশ্য৷ দৃশ্যটি কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতে। যা দেখে স্থানীয়দের পাশাপাশি আগত দেশি-বিদেশি পর্যটকের মন জুড়াচ্ছে বলে আশাব্যক্ত করছে এর আয়োজক ‘বাংলাদেশ ঘুড়ি ফেডারেশন’।
তবে এগুলো সত্যিকারের প্রাণী নয়, প্রাণীর আদলে তৈরি ঘুড়ি৷ বাংলাদেশ ঘুড়ি ফেডারেশন কর্তৃক আয়োজিত দুই দিনব্যাপী জাতীয় ঘুড়ি উৎসব-২০১৯-এর প্রথম দিন ১ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতে বিপুলসংখ্যক পর্যটক আকাশে ঘুরে বেড়ানো রংবেরঙের এসব ‘প্রাণীর’ দৌড়ঝাঁপ মনভরে উপভোগ করে৷

১ ফেব্রুয়ারি (শুক্রবার) বিকেলের দিকে সৈকতের সুগন্ধা পয়েন্টে কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেনর এর সভাপতিত্বে ঘুড়ি উৎসব আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেছেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেল। বিশেষ অতিথি ছিলেন ও বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত মি. ঝাং ঝু। এসময় বাংলাদেশ ঘুড়ি ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক শাহজাহান মৃধা উপস্থিত ছিলেন। তারা ‘চাই নির্মল সৈকত ও সমুদ্রের কক্সবাজার।

মন্ত্রী বলেন, এই উৎসবের মাধ্যমে বিশে^র দীর্ঘতম সমুদসৈকত কক্সবাজার সারা বিশে^ পরিচিতি পাবে৷ বালুচরে নেমে প্রতিমন্ত্রী ও চীনের রাষ্টদূত ঘুড়ি উড়িয়ে ছোটদের উৎসাহিত করেন৷

শাহজাহান মৃধা বলেন, ঘুুড়ি উড়ানোর দুটি পূর্বশর্ত হচ্ছে বাতাস আর শুষ্ক আবহাওয়া৷ এই সৈকতে এর দুটোই রয়েছে৷ আমরা সৈকতের নির্মল বাতাস রক্ষার দািবতে এই ঘুড়ি উৎসবের আয়োজন করেছি৷ এই উৎসব যেন যুগযুগ ধরে রাখতে পারি সকলের সহযোগিতা কামনা করছি।