স্থানিয়দের চাকুরির দাবি মেনে নিয়েছে এনজিওরা

প্রেস বিজ্ঞপ্তি :

কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে স্থানিয়দের চাকরির অগ্রাধিকার দেয়ার দাবি মেনে নিয়েছে সংশ্লিষ্ট এনজিওরা। এনজিওতে স্থানিয় বেকারদের চাকরি সুযোগ করে দিতে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকের সমন্বয়ে একটি কমিটিও গঠন করে দেয়া হয়েছে। একই সাথে এনজিওতে স্থানিয়দের ছাটাই না করে, প্রয়োজনে বিকল্প কর্মসংস্থানের দাবিতেও একমত হয়েছে এনজিওরা।

মঙ্গলবার কক্সবাজারের জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এনজিওদের সাথে জেলা প্রশাসকের সমন্বয় সভায় এনজিওরা স্থানিয়দের চাকরির দাবি মেনে নেয়ার কথা জানান। কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামাল হোসেন এনজিওরা স্থানিয়দের দাবির মেনে নেয়ার কথা জানিয়েছেন।

কক্সবাজারে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এনজিওতে স্থানিয়দের চাকরিতে অগ্রাধিকার দেয়ার দাবিতে কিছুদিন ধরে আন্দোলন করে আসছিলো স্থানিয়রা। স্থানিয়দের ধারাবাহিক আন্দোলনের ফলে চাপের মুখে এনজিওরা চাকরির ক্ষেত্রে স্থানিয়দের অগ্রাদিকার দেয়ার দাবি মেনে নেয়।

 চাকরির দাবিতে আজও কক্সবাজারের জেলা প্রশাসকের কার্য্যালয়ে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করে স্থানিয়রা।  স্থানিয়দের আন্দোলনের পরিপেক্ষি আজ এনজিওদের নিয়ে বিশেষ সমন্বয় সভা ডাকে জেলা প্রশাসক মোঃ কামাল হোসেন। এই সময় জেলা প্রশাসক চাকরির জন্য স্থানিয়দের দাবি ও সরকারের নির্দেশনার কথা এনজিওদের জানায়।  সভায় উপস্থিত এনজিও কর্মকর্তারা স্থানিয়দের চাকরির ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেয়ার দাবি মেনে নেয়। আগামী এক সাপ্তাহের মধ্যে স্থানিয় বেকার যুবকদের চাকরির জন্য অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক রাজস্বের এনজিওদের সাথে সমন্বয় করার নির্দেশ দেয়।

কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মোঃ কামাল হোসেন জানিয়েছেন, চাকরির  জন্য স্থানিয়দের যোক্তিক দাবি এনজিওরা মেনে নিয়েছেন। স্থানিয় যে সকল বেকার যুবকেরা চাকরির আবেদন করেছেন, যোগ্যতার ভিত্তিতে তাদের ধ্রুত চেকরি দেয়া হবে। এ ছাড়াও স্থানিয়দের চাকরি থেকে ছাটাই না করার দাবিও এনজিওরা মেনে নিয়েছে। কোন এনজিওর প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হলে   স্থানিয়দের পরবর্তি প্রকল্পে কর্মসংস্থান করার দাবিতেও এনজিওরা একমত পোষন করেছেন। এছাড়াও স্থানিয়দের অন্যান্য দাবিও আলোচনার ভিত্তিতে পর্যায় ক্রমে পূরন করা হবে।

এই ব্যাপারে এনজিওতে স্থানিয়দের চাকরির দাবিতে আন্দোলনের নেতৃত্ব দেয়া ইমরুল কায়েস চৌধুরী বলেছেন, স্থানিয়দের চাকরির দাবি মেনে নেয়া এটি আন্দোলনের প্রাথমিক বিজয়। তিনি এটির কার্যকারীতা দেখতে চান। এবং ধারাবাহিক ভাবে এনজিওদের স্থানিয়দের সকল দাবি মেনে নেয়ার অনুরোধ করেন।