ডেঙ্গুর হটস্পট রোহিঙ্গা ক্যাম্প: রোগী সবচেয়ে বেশি

ডেস্ক রিপোর্ট •

কক্সবাজারের রোহিঙ্গা শিবিরে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা সবচেয়ে বেশি উল্লেখ করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, চলতি বছর কক্সবাজারের রোহিঙ্গা শিবিরে এক হাজার ৬৬ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছে।

রোববার সকালে রাজধানীর মহাখালীতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে এসব তথ্য তুলে ধরেন অধিদপ্তরের লাইন ডিরেক্টর সিডিসি (কমিউনিকেবল ডিজিজ কন্ট্রোল) অধ্যাপক মো. নাজমুল ইসলাম। সেখানে বলা হয়, রোহিঙ্গা বাদে সারা দেশে চলতি বছর ১ হাজার ৫৩৩ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছে। তার মধ্যে ঢাকা মহানগরে ৯৭১ জন এবং ঢাকা মহানগরের বাইরে ৫৬২ জন।

নাজমুল ইসলাম বলেন, কক্সবাজারের রোহিঙ্গা শিবিরে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। গত বছর সেখানে ১৭ হাজারের বেশি রোগী শনাক্ত হয়েছিল। এ বছরও সেখানে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা অত্যন্ত বেশি। কক্সবাজারের স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে রোগীর সংখ্যা উপেক্ষা করার মতো নয়।

রোহিঙ্গা শিবিরের এ অবস্থা কেন—এমন এক প্রশ্নের জবাবে নাজমুল ইসলাম বলেন, রোহিঙ্গারা সীমিত জায়গায় থাকে। সেখানে পানি সরবরাহ না থাকায় পানি জমা করে রাখতে হয়। জমা করে রাখা পরিষ্কার পানি এডিস মশা প্রজননের জন্য ভালো জায়গা।

রোহিঙ্গা শিবিরে সাধারণ মানুষের চলাফেরা সীমিত থাকাকে কারণ হিসেবে দেখছেন নাজমুল ইসলাম। স্বাস্থ্যকর্মীদের বিধিনিষেধের মধ্যে কাজ করার বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে নেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।

নাজমুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের স্বাস্থ্যকর্মীরা দিবারাত্রি কাজ করছেন। তারপরও মনে রাখতে হবে, মশার প্রজননক্ষেত্র যদি ধ্বংস করা না যায়, এটা কিন্তু প্রাক-মৌসুম, তাহলে পুরোপুরি মৌসুম শুরু হয়ে গেলে এর পরিস্থিতি আশঙ্কাজনক হতেই পারে।’

ঢাকা মহানগর প্রসঙ্গে নাজমুল ইসলাম বলেন, জনবসতি যেখানে বেশি, সেখানে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বেড়ে যায়৷

মুগদা মেডিকেলে ডেঙ্গু আক্রান্ত অর্ধেক রোগী একটি এলাকার ডেঙ্গুতে আক্রান্ত রোজিনা বেগম ভর্তি হয়েছেন রাজধানীর মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। কোলে ছোট মেয়ে আছিয়া। আরেক পাশে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত বড় মেয়ে নিপা।

ঢাকা দক্ষিণে রোগী বেশি—এ ধরনের পরিসংখ্যান বিভ্রান্তি তৈরি করতে পারে বলে মনে করেন নাজমুল ইসলাম। তার মতে, উত্তর ও দক্ষিণ দুই সিটিতেই ডেঙ্গু রোগী আছে। এর কারণ হিসেবে তিনি বলেন, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের তুলনায় দক্ষিণে গৃহায়ণ পরিকল্পিতভাবে হয়নি। বড় হাসপাতালগুলো ঢাকা দক্ষিণে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এ অনুষ্ঠানে কথা বলেন অতিরিক্ত মহাপরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক আহমেদুল কবির, অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক রাশেদা ইসলাম, লাইন ডিরেক্টর (এনসিডিসি) অধ্যাপক মো. রোবেদ আমিন, অধ্যাপক কাজী তারিকুল ইসলাম প্রমুখ।