হঠাৎ উত্তেজনাঃ চীনে করোনার বিধিনিষেধের প্রতিবাদে নজিরবিহীন বিক্ষোভ

নজিরবিহীন বিক্ষোভ চলছে চীনে। করোনার কঠোর বিধিনিষেধের প্রতিবাদে দেশটির বেশ কয়েকটি প্রদেশে বিক্ষোভ করছে সাধারণ মানুষ। মূলত চীন সরকারের জিরো কোভিড নীতির কারণে অসন্তোষ ছড়িয়েছে দেশজুড়ে। তবে বিক্ষোভ দমনে কঠোর অবস্থানে প্রশাসন। এরইমধ্যে গ্রেফতার করা হয়েছে বেশকয়েকজনকে। খবর এপির।

আন্দোলনকারীদের দাবি, লকডাউনের কারণে তালাবন্ধ থাকায় অগ্নিকাণ্ডের সময় উরুমচির ভবনটির বাসিন্দারা বের হতে পারেননি। এরপর থেকেই শহরটিতে শুরু হয় লকডাউন বিরোধী বিক্ষোভ। পরে তা ছড়িয়ে পড়ে বেইজিং, সাংহাই’সহ গুরুত্বপূর্ণ প্রদেশগুলোতে। যোগ দেয় হাজার হাজার মানুষ।

এসময় সরকারবিরোধী স্লোগানও দেয় বিক্ষোভকারীরা। দাবি জানায়, বিধিনিষেধ তুলে নেয়ার। তবে বিক্ষোভ দমনে প্রশাসনও রয়েছে কঠোর অবস্থানে। এ পর্যন্ত বেশকয়েকজন আন্দোলনকারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে পুলিশকে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতেও দেখা গেছে। বিশ্বের অন্যতম পরাশক্তি চীনে এমন বিক্ষোভের ঘটনা নজিরবিহীন। বর্তমান প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের এক দশকের শাসনামলে দেশটিতে এত বড় পরিসরে আন্দোলন দেখা যায়নি।

করোনার উৎসস্থল চীনে সংক্রমণ শুরু হওয়ার পর থেকেই কঠোর কড়াকড়ি আরোপ করে সরকার। ‘জিরো কোভিড নীতি’র মাধ্যমে এ ভাইরাস নিয়ন্ত্রণে সফলতাও পায় দেশটি। সম্প্রতি আবারও করোনা সংক্রমণ আশঙ্কাজনক হারে বেড়ে যাওয়ায় পুরনো নীতিতে ফিরেছে তারা। এরইমধ্যে অনেক শহরে কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে।

বিক্ষোভকারীদের দাবি, সরকারের কঠোর এই নীতির বিরূপ প্রভাব পড়েছে দেশটির অর্থনীতিতে। বন্ধ হয়ে গেছে বহু প্রতিষ্ঠান। চাকরি হারিয়ে বেকার হয়েছেন অনেকে।

মহামারি শুরুর পর এখন পর্যন্ত চীনে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৩ লাখের বেশি মানুষ। মোট প্রাণহানি ৫ হাজারের ওপর। চীন থেকে করোনা সংক্রমণ শুরু হলেও অন্যান্য দেশে তুলনায় ভাইরাসটি মোকাবেলায় ভালো অবস্থানে রয়েছে তারা। যদিও সম্প্রতি দেশটিতে ঊর্ধ্বমুখী করোনা সংক্রমণ।

এটিএম/
©Jamuna TV