কক্সবাজারে উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট গ্রহণ চলছে

বিশেষ প্রতিবেদক •

কক্সবাজারের চকরিয়া ও মহেশখালী পৌরসভাসহ চার উপজেলার ১৪টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট গ্রহণ শুরু হচ্ছে। তিনটি ভিন্ন টিমের নিরাপত্তার মধ্যে দিয়ে দুই পৌরসভার ২৮টি ও ১৪ ইউপি’র ১৪০টি কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ সকাল ৮টায় শুরু হয়েছে।

কক্সবাজার জেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে, চকরিয়া ও মহেশখালী পৌরসভার সব কেন্দ্রে ইভিএমে ভোট গ্রহণ করা হচ্ছে। এছাড়া মহেশখালী, কুতুবদিয়া, চকরিয়া ও টেকনাফ উপজেলার ১৪টি ইউনিয়নের ১৪০টি কেন্দ্রে ব্যালেট পেপারসহ প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম স্ব-স্ব কেন্দ্রে পৌঁছানো হয় রোববার বিকেলে।

জেলা নির্বাচন অফিসের তথ্য মতে, প্রতিটি বুথে একটি করে ইভিএম মেশিন থাকবে। দুই ধাপে ভোটারদের শনাক্ত করা হচ্ছে। ভোট দানের সময় স্ব স্ব ভোটার তার নিজের ছবি ইভিএম মেশিনে দেখতে পাচ্ছে।

এ বিষয়ে কক্সবাজার জেলা নির্বাচন অফিসার এস. এম শাহাদাত হোসেন বলেন, ‘সোমবার সকাল ৮টা থেকে জেলার ১৪ ইউনিয়ন ও দুটি পৌরসভার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ইভিএমে ভোট দেওয়ার কৌশল মাল্টিমিডিয়ার মাধ্যমে ভোটারদের মাঝে প্রচারণা চালানো হয়েছে। এছাড়া ভোট কাজে জড়িত, এমন প্রায়ই দুই হাজার জনকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে।’

nirbachon 2

কক্সবাজারের পুলিশ সুপার মো. হাসানুজ্জামান বলেন, ‘নির্বাচন নিয়ে যেকোন ধরনের সহিংসতা রোধে পুলিশের সর্বাত্মক প্রস্তুতি রয়েছে। অতীতে এই জেলার নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করে দেখা যায়, এখানে নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতা হয়, সেটি মাথায় রেখেও পরিকল্পনা সাজানো হয়েছে। ২ পৌরসভা ও ১৪টি ইউনিয়নে পুলিশের টহল বাড়ানো হয়েছে।’

এদিকে, কুতুবদিয়া উপজেলার ৬টি ও টেকনাফের ৪টি ইউনিয়নে ভোট গ্রহণ চলছে। মহেশখালীতে ৩টি ও পেকুয়ায় ১টিতে ভোট গ্রহণ চলছে। কুতুবদিয়া ও টেকনাফে উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট গ্রহণ চলছে। প্রায় প্রতিটি কেন্দ্রে নারী ভোটারের উপস্থিতি লক্ষণীয়। দু’পৌরসভাতেও ভোটার উপস্থিতি সন্তোষজনক।

কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাঙামাটি, বান্দরবান ও চট্টগ্রাম মহানগর থেকে আগত বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে নির্বাচনী এলাকায়। নির্বাচনে পুলিশের পাশাপাশি বিজিবি, আনসার সদস্যরাও দায়িত্ব পালন করছে।’

কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মো. মামুনূর রশীদ বলেন, ‘সুষ্ঠু ও সুন্দর পরিবেশে অবাধ ও নিরপেক্ষ ভোট গ্রহণের জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে। জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও ৭ জন জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটদের দিয়ে নির্বাচনে ভ্রাম্যমাণ আদালত মাঠে রয়েছে।