কক্সবাজারে ‘দা বাহিনী’ প্রধানকে কুপিয়ে হত্যা

মুকুল কান্তি দাশ,চকরিয়া :

নাছির উদ্দিন। বয়স ৪৮। কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলার টৈটং ইউনিয়নের পন্ডিতপাড়া এলাকার বাসিন্দা।

একসময় হত্যা, অস্ত্র ও পাহাড় দখল-বেদখলসহ নানা অপরাধ কর্মকান্ডের সাথে জড়িত ছিলো। তার নাম শুনলেই আতংকে ঘুম হারাম হয়ে যেতো অনেকের। ছিলো অসংখ্য মামলা।

এসব অপরাধ থেকে মুক্ত হতে অস্ত্রসহ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে আত্মসমপর্ন করেন নাছির উদ্দিন। কিন্তু ভালো হতে গিয়ে শত্রু পক্ষের হাতে প্রাণ হারাতে হয়েছে নাছির উদ্দিনকে।

রোববার (৩১ অক্টোবর) রাত সাড়ে ১১টার দিকে টৈটং ইউনিয়নের পন্ডিতপাড়া এলাকায় জমির বিরোধ নিয়ে নাছির উদ্দিনকে কুপিয়ে হত্যা করে চিহিৃত দুর্বৃত্তরা।

স্থানীয় লোকজন বলেন, পন্ডিতপাড়া এলাকার মোজাফ্ফর আহমদের সঙ্গে নাছির উদ্দিনের জমির ‘এওয়াজ বদল’ নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। এই বিরোধের জের ধরে তাঁদের মধ্যে একাধিকবার কথা কাটাকাটি হয়েছে। রোববার রাত সাড়ে ১১টার দিকে মোজাফ্ফরের বাড়ির সামনে গেলে নাছির উদ্দিনকে কুপান মোজাফ্ফর ও তাঁর ছেলে আসহাব উদ্দিন। এতে নাছির গুরুতর আহত হলে তাকে পেকুয়ার একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে চট্টগ্রাম নেওয়ার পথে রাত একটার দিকে তিনি মারা যান।

পুলিশ জানায়, ২০২০ সালের ১২ নভেম্বর বাঁশখালীতে ৩৪ জলদস্যু আত্মসমপর্ণ অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে নিজের অস্ত্র জমা দিয়ে আত্মসমর্পণ করেছিলেন দা বাহিনী প্রধান নাছির উদ্দিন। এরপর দ্রুত সময়ের মধ্যে সব মামলায় তাঁর জামিন হলে তিনি জেল থেকে বের হন। হত্যা, অস্ত্র, মারামারি ও বন আইনে অন্তত দেড় ডজনের বেশি মামলা রয়েছে দা বাহিনী প্রধান নাছির উদ্দিনের বিরুদ্ধে।

নাছিরের পরিবারের লোকজন দাবি করেন, নাছির আত্মসমর্পন করার পর ভালো হয়ে যেতে চেয়েছিলেন। জেল থেকে বের হয়ে তিনি একটি মুদির দোকানও দিয়েছিলেন। কিন্তু শত্রুরা থাকে বাঁচতে দিলো না। আমরা এই হত্যাকান্ডের সুষ্ঠু বিচার এবং জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি করছি।

পেকুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.ফরহাদ আলী বলেন, চট্টগ্রাম নেওয়ার পথে মারা যাওয়ায় লাশের ময়নাতদন্ত করানো হচ্ছে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। নাছিরের হত্যাকারীদের ধরতে পুলিশ চেষ্টা করছে। তবে এ ঘটনায় এখনও মামলা হয়নি।