ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিল মোখা : কক্সবাজার স্থলভাগে আঘাত হানবে ১৪ই মে দুপুরে

ডেস্ক রিপোর্ট •

ধীরে ধীরে শক্তি বাড়িয়ে মোখা আজ ঘূর্ণাবর্তের রূপ নিয়েছে। বঙ্গোপসাগরে রবিবার থেকেই শক্তি বাড়াতে শুরু করেছিল মোখা। গভীর নিম্নচাপ থেকে শক্তি সংঞ্চয় করে ধীরে ধীরে শক্তিশালী ঘূর্ণাবর্তে পরিণত হয়েছে।এ কারণে মঙ্গলবার বিকালে মোকা রূপ নেবে ঘূর্ণিঝড়ের৷ আর তারপর বৃহস্পতিবার সকালে এটি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় এবং বৃহস্পতিবার বিকেলের মধ্যে মধ্য বঙ্গোপসাগরে অতি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় হিসেবে ভয়ঙ্কর রূপ নেবে।

ঘূর্ণিঝড় মোকা আগামী ১৪ই মে দুপুরে কক্সবাজার এবং মায়ানমারের কিয়াপ্পু-এর মাঝে স্থলভাগে আছড়ে পড়বে। অতি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় হিসেবেই এটি আছড়ে পড়বে স্থলভাগে।

এদিকে ঘূর্ণিঝড় মোখা থেকে সৃষ্টি হওয়া নিম্নচাপ কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ৪৯৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে । বর্তমানে নিম্নচাপ এলাকায় সাগর উত্তাল রয়েছে। সে কারণে সমুদ্রবন্দরে এক নম্বর সতর্কতা সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

এটি আরও ঘনীভূত হয়ে উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হতে পারে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মো. ওমর ফারুক।

মঙ্গলবার (৯ মে) বাংলাদেশ আবহাওয়া অফিসের বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

নিম্নচাপে পরিণত হলো লঘুচাপ, সমুদ্রবন্দরে এক নম্বর সতর্ক সংকেত

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন দক্ষিণ আন্দামান এলাকায় অবস্থানরত সুস্পষ্ট লঘুচাপটি ঘনীভূত হয়েছে। বর্তমানে লঘুচাপটি দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় (৮.২° উত্তর অক্ষাংশ এবং ৮৯.৫° পূর্ব দ্রাঘিমাংশ) নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে।

এটি আজ সন্ধ্যা ৬টায় কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ১৪৯৫ কিলোমিটার দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিল।

এটি আরও ঘনীভূত হয়ে প্রথমে ১১ মে পর্যন্ত উত্তর ও উত্তর-পশ্চিম দিকে এবং পরবর্তীতে দিক পরিবর্তন করে ক্রমান্বয়ে উত্তর ও উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর হতে পারে।

নিম্নচাপ কেন্দ্রের ৪৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্ব্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৪০ কিলোমিটার। যা দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়ার আকারে ৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। নিম্নচাপ কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর উত্তাল রয়েছে।

আবহাওয়া অফিস আরও জানায়, কক্সবাজার সমুদ্র বন্দরসমূহকে ১ (এক) নম্বর (পুন:) ০১ (এক) নম্বর দূরবর্তী সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সব ধরনের মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে উপকূলের কাছাকাছি এসে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে। সেইসঙ্গে তাদের গভীর সাগরে বিচরণ না করতে বলা হয়েছে।