আমি তাঁকে এড়িয়ে চলি- যে সকল মানুষের কাছে ভালো!

সৈয়দ তানবীর মাহমুদ খোন্দকার •

প্রত‍্যেক মানুষের পছন্দ-অপছন্দ আছে। একজন মানুষ সবার কাছে পছন্দের মানুষ হতে পারে না। আবার এমন ও হতে পারে একজন মানুষ সবার কাছে সঙ্গতকারণে অপ্রিয় হতে পারে। প্র‍ত‍্যেক মানুষের আলাদা বৈশিষ্ট্য থাকে। কেউ কম কথা বলে আবার কেউ অতিরিক্ত কথা বলে। কারো কারো পছন্দের ধরন ভিন্ন হতে পারে। কেউ গোলাপ পছন্দ করে আবার কেউ হাসনাহেনা পছন্দ করে। ঠিক রঙের ক্ষেত্রে সবার পছন্দ এক রকম নয়। সবার মানসিকতা এক নয়। কিন্তু কিছু ক্ষেত্রে সবার পছন্দ একই রকম। যেমন, দুই আর দুই যোগ করলে সবার যোগফল চার হবেই।

মানুষ হিসেবে আমি স্বল্পভাষী। বেশি কথা বলা আমি টোটালি পছন্দ করি না। বিশেষ করে মূল‍্যহীন কথাবার্তা আমার কাছে খুবই বিরক্তিকর। আবার যারা বেশি কথা বলে তাদের কাছে আমি খুব অপছন্দের একজন মানুষ। মানুষ হিসেবে আমি প্রতিবাদী। তাই অন‍্যায়কারীর কাছে আমি খুবই অপ্রিয় একজন মানুষ।

বেসিক‍্যালি আমি কিছু মানুষকে খুবই অপছন্দ করি। যেমন, মিথ‍্যাবাদী, যারা কথা দিয়ে কথা রাখেন না, গীবতকারী, দ্বিচারী ব‍্যক্তি ও হিংসুক ব‍্যক্তি। একথা আমি হলফ করে বলতে পারি কর্মময় জীবনে কখনো মিথ‍্যার আশ্রয় নেয়নি। জীবনে যাকে ওয়াদা দিয়েছি সেটা পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে পালন করেছি। কারণ ওয়াদা ভঙ্গ করা মুনাফেক এর লক্ষণ।

ব্যক্তিগতভাবে আমি আরো এক ধরনের মানুষকে পুরোপুরি এড়িয়ে চলার চেষ্টা করি। তা হলো- সকল প্রকার মানুষের কাছে যে ব্যক্তি ভালো।

আমার মনে হয় সবার কাছে ভালো সেইই হতে পারে যার কোন ব্যক্তিত্ব নেই অথবা যে মহা ধুরন্ধর। অন্যদিকে বেশিরভাগ মানুষের কাছে যে মানুষটা অপ্রিয় তাকে নিয়ে কনফিউশানে ভুগতে হয়না। বর্তমান সময়ে স্পষ্টবাদী ও সৎ লোকগুলো সবার কাছে অপ্রিয়। এতে কোন সন্দেহ নেই।

এইজন্য যখন আমি দেখি আমার চারপাশের মানুষদের মধ্যে কেউ আমাকে খুব পছন্দ করে,কেউ অল্প পছন্দ করে,কেউ অপছন্দ করে, কেউ তীব্রভাবে অপছন্দ করে আবার কেউবা গাল-মন্দ করে তখন আমি একধরনের আত্মতৃপ্তিতে ভুগি। মনে হয় একজন নিতান্ত সাধারণ মানুষ হিসেবে আমি একেবারেই ঠিক ঠিক অবস্থানে রয়েছি!

লেখক: সহকারি শিক্ষক ,মধ‍্য রাজাপালং সরকারি প্রাথমিক বিদ‍্যালয়, উখিয়া