উখিয়ায় বাড়িতে ঢুকে নারী নেত্রীকে কুপিয়ে হত্যা!

আবদুল্লাহ আল আজিজ ও ইমরান আল মাহমুদ, কক্সবাজার জার্নাল •

 

কক্সবাজারের উখিয়ার পালংখালীতে পূর্ব শত্রুতার জেরে এক নারী নেত্রীকে কুপিয়ে হত্যা করেছে ইউসুফ নামের এক ব্যক্তি। ঘটনাটি ঘটে বৃহস্পতিবার (৪ মে) সন্ধ্যায় সাড়ে ৭টায় পশ্চিম পালংখালী এলাকায়। নিহত মহিলা লুলু আল মারজান ওই এলাকার মৃত মমতাজ মিয়ার স্ত্রী ও পালংখালী উচ্চ বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির অভিভাবক সদস্য বলে জানা যায়।

এদিকে,হত্যার ঘটনার খবর পেয়ে উখিয়া থানা পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশ উদ্ধার করে প্রাথমিক সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেন।

নিহতের মেয়ে প্রিয়া পুলিশকে দেওয়া ভাষ্যমতে, ইউসুফ সন্ধ্যায় অতর্কিত অবস্থায় এসে বাড়ির দরজা কেটে ঢুকে গালিগালাজ করার পর মারতে যায়। আমার মায়ের একটু চিৎকার শুনেছি। বাকীটা জানিনা।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী ইউসুফ ও তার সহযোগী ইয়াবা কারবারি আবুল খায়ের, হাবিব তাদের দলবল নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে মরজানকে হুমকি দিয়ে আসছিলো।

উখিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ শেখ মোহাম্মদ আলী হত্যার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

জানা যায়, লুলু আল মারজানের পিতাকে ২৩/২৪ বছর পূর্বে ইউসুফের পিতা জাহাঙ্গীর হত্যা করছিলো। নিহত মারজান গত ইউপি নির্বাচনে ৭,৮ ও ৯নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত নারী আসন হতে মহিলা ইউপি সদস্য প্রার্থী ছিলো। তবে নির্বাচিত হননি। সে গয়ালমারা এমএসএফ হাসপাতালে মিড ওয়াইপ পদে চাকরী করে। স্বামী মমতাজ আহম্মেদ স্ট্রোক জনিত কারণে মারা যাওয়ার পরে ৯ নং ওয়ার্ডের স্বামীর বাড়ি ছেড়ে পৈতৃক বাড়ি ৭ নাম্বার ওয়ার্ডে বসবাস করে আসছিলেন।

উল্লেখ্য, ইউসুফ চলতি বছরের ১৬ ফেব্রুয়ারী অস্ত্রসহ র‍্যাবের হাতে আটক হয়ে দেড় মাসের মাথায় জামিনে বের হয়ে এ হত্যাকাণ্ড ঘটায়।

তার বিরুদ্ধে অস্ত্র ও অ্যামুনেশন তৈরীর কারখানা নির্মাণের মাধ্যমে দেশীয় অস্ত্র তৈরি করে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বিভিন্ন সন্ত্রাসীদের মাঝে সরবরাহের অভিযোগ আছে এবং সে কুখ্যাত রোহিঙ্গা ডাকাত ও ইয়াবা ব্যবসায়ী নবী হোসেন এর আপন চাচাতো বোনের স্বামী।